শুরুতেই আমরা ব্যবসায়ের সংজ্ঞা নিয়ে একটু পর্যালোচনা করলে যা দেখতে পাই , অর্থশাস্ত্রের পরিভাষায় ব্যবসা এক ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড ( বিজ্ঞান ) যেখানে নির্দিষ্ট,সৃষ্টিশীল ও উৎপাদন লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৈধভাবে সম্পদ উপার্জন লাভের আশায় লোকজনকে সংঘটিত করা হয় ও তাদের উৎপাদন ও কর্মকাণ্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় অথবা ব্যক্তি মুনাফা পাওয়ার আশায় পণ্য দ্রব্য ও সেবা কর্ম উৎপাদনের মাধ্যমে উপযোগ সৃষ্টি হয় এবং মানুষের বস্তুগত ও অবস্তুগত অভাব পূরণের লক্ষ্যে সেগুলো বন্টন এবং এর সহায়ক সব রকম বৈধ ঝুঁকিবহুল ও ধারাবাহিক কার্যকে ব্যবসা বলি। ব্যবসা শব্দটির সাথে সেবা ও বৈধ উপার্জন ওতপ্রোতভাবে জড়িত. তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, অবৈধভাবে অধিক মুনাফা অর্জন অথবা মুনাফা অর্জন করতে গিয়ে যদি সেবার ঘাটতি ঘটে তাহলে সেটা বৈধ ব্যবসা নয়, অবৈধ বলে পরিগণিত হবে, এই ধরনের ব্যবসা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর।
সারাবিশ্বে মহৎ পেশা গুলোর টপ রেংকিং দেখা যায়
ডাক্তার,
নার্স,
আইনজীবী,
শিক্ষক
, পুলিশ অফিসার
,প্রকৌশলী প্রভৃতিগন
.মহৎ পেশাগুলোর অন্যতম প্রধান হচ্ছে ডাক্তারি কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই ডাক্তার পেশাকে নানাভাবে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে যার দরুন সম্মানিত ডাক্তারগন কখনো কখনো সাধারণ মানুষের কাছে সম্মানের আসন থেকে বিচ্যুত হয়ে লোভী, কমিশনখোর ও কসাই নামে অভিহিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেকে আমাদের দেশের দীর্ঘদিনের চলে আসা ঔষধ কোম্পানী. নিম্নমানের হাসপাতাল ও ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ব্যবসায়িক কৌশল কে দায়ী করছে সাথে কিছু বিবেকবর্জিত ডাক্তারদের অবিবেচকের মত কাজ , এই মহান পেশাকে কলুষিত করেছে।
হাসপাতাল, ওষুধ কোম্পানি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ইত্যাদি ডাক্তার পেশার সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। হাসপাতাল, ঔষধ কোম্পানি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো যদি এই ডাক্তারদের মহান পেশায় সুন্দর ন্যায় এর পথে সহযোগিতা না করে অন্যায় ও অনৈতিক অর্জনে সহায়তা করে তাহলে এই মহৎ পেশা কে ধ্বংস করতে তারা অনেকাংশে দায়ী থাকবে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন কোন কোন ঔষধ কোম্পানির পক্ষ থেকে ডাক্তারদের সন্তুষ্ট করার জন্য স্যাম্পল ওষুধের পাশাপাশি তাদের চেম্বার সাজিয়ে দেওয়া ,নগদ টাকা ইত্যাদি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে, সব ডাক্তারদের এক পাল্লায় মাপা যাবে না কেউ কেউ আবার বেশি ভিজিটের বিপক্ষে এবং ঔষধ কোম্পানি থেকে যেভাবে তাদেরকে উপহার-উপঢৌকন দেয়া হয় এ বিষয়ে তারা খুশি নয় কিন্তু ঔষধ কোম্পানির ব্যবসায়িক কৌশল এর জন্য তারা এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারছেনা।
সরেজমিনে দেখা গিয়েছে যে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভেদে ৩০ থেকে ৫০ পার্সেন্ট পর্যন্ত কমিশন ডাক্তারদের দেয়া হয়. এতে করে খুব সহজ একটি হিসাব সম্মানিত ডাক্তারগণ যদি এই কমিশন না খান, তাহলে টেস্টের রিপোর্ট ৩০% থেকে ৫০% কমে যাবে আবার সাধারণ মানুষ যেহেতু এই টেস্ট সম্পর্কে খুবই কম জানেন যখন ডাক্তারবৃন্দ কমিশন পাবেন না তখন ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো সম্পর্কে যে অভিযোগ রয়েছে তারা একটি টেস্টের মূল্য খরচের চেয়ে বহুগুণ নিয়ে থাকেন তখন কিন্তু ডাক্তার গন এ ব্যাপারে সচেষ্ট হবেন এবং প্রতিবাদী হবেন.
অতি সম্প্রতি আমরা একটি জরিপ চালিয়েছে বিষয়বস্তু এরকম ছিলথ সম্মানিত ডাক্তারবৃন্দ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন গ্রহণ করেনথএ বিষয়ে আপনার মতামত কি ?- হা হলে হা বলুন,- না হলে না বলুন এবং কোনো ধরনের মন্তব্য করতে চাইলে সে সুযোগ রয়েছে আপনি আপনার মতামত দিতে পারেন।
এখানে একটি বিষয় আমরা এরকম একটি শিরোনামে কেন জরিপ পরিচালনা করলাম ? দীর্ঘ দিন ধরে দেখা যাচ্ছে যে যখনই আমরা কোন ডাক্তারের প্রাইভেট চেম্বারে গিয়েছি সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা রোগীরা বসে আছেন ডাক্তারের সিরিয়াল পাওয়ার জন্য, সরেজমিনে আমরা দেখতে পেয়েছি এতগুলো রোগীর মধ্যে কেউ না কেউ যিনি চেম্বারের বাইরে বসে ডাক্তারের ভিজিট নিচ্ছেন তাকে অনুরোধ করতে, ভাই ভিজিটের টাকা কিছু কম হবে কিনা? টেস্টের রিপোর্ট কমানোর জন্য স্যার কে বলে দিবেন কিনা ?আমিতো কিছুদিন আগে দেখেয়েছি আমার টাকা কম দেয়া যায় কিনা? ইত্যাদি ইত্যাদি এবং কোন কোন রোগীর মাঝে আমরা চাপা ক্ষোভ লক্ষ্য করেছি তারা বলতে চাচ্ছে ভিজিটের টাকা কম হলে ভালো হতো, প্রেসক্রিপশনে টেস্ট করানোর রিপোর্ট দেখে মাথায় হাত ডাক্তারের ভিজিটের টাকাই তো অনেক কষ্ট করে যোগাড় করেছি টেস্টের টাকা পাব কোথায়? আর যদি টেস্ট করাতে নাই পারি তাহলে ডাক্তার কে কি জবাব দেবো ইত্যাদি ইত্যাদি.
যেহেতু ডাক্তারে এমন একটি পেশা যেখানে সাধারণ মানুষকে যেতেই হবে তাদের সেবা নিতেই হবে সে কারণেই আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস চেষ্টা করে দেখা , এই সেবার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনা যায় কিনা অথবা কোন পরিবর্তন জরুরি কিনা।
তো যাই হোক আমাদের জরিপের ফলাফল শতভাগ মানুষ, যাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে তারা এক বাক্যে ডাক্তারদের কমিশন গ্রহণের বিষয়টি কে “নাচ্ বলেছে তবে কেউ কেউ ক্ষোভের ভাষায় বলেছেন শুধু ডাক্তার কেন আইনজীবী নিকট গেলে শুরুতেই তারা ২০ হাজার টাকা অথবা আরো বেশী নিয়ে নেয় এবং কেউ কেউ শিক্ষকদের বিষয়টিও এনেছেন তারাও তো প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন , কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন আগে যখন ডাক্তারদের ভিজিট কম ছিল তখন ডাক্তারগণ অনেক মানবিক ছিলেন তারা রোগীদের প্রতি অনেক সহানুভূতিশীল দানশীল ছিলেন কিন্তু বর্তমানে যখন ডাক্তারগন ১০০০ বারোশো টাকা ভিজিট নেন তখন তারা কেমন যেন নিষ্ঠুর ও খিটখিটে মেজাজের হয়ে গেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন ডাক্তার যখন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চেম্বার করেন তখন ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর প্রতি তাদের দায়িত্ব সহানুভূতি ইত্যাদির কারণে কখনো কখনো অতিরিক্ত টেস্ট করতে দিয়ে থাকে অথবা কখনো কখনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার ডাক্তারদের ওপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানসিক চাপের সৃষ্টি করেন যাতে তারা বেশি বেশি রোগীর টেস্ট করতে দেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন ডাক্তারদের এই অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য এই পেশা।
এই পেশা নিয়ে সম্মানিত ডাক্তারবৃন্দ গবেষণা অথবা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরিবর্তে অলস এবং বিলাসী জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়। আবার কেউ বলেছে ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানি গুলো যেমন ডাক্তারদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে ব্যবসায়ী ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে ঠিক তেমনিভাবে প্রকাশনা সংস্থাগুলো শিক্ষকদের হাত করে ব্যবসায় সফলতার স্বপ্ন দেখছে।
এক ভাই বলেছেনথ ঘুষ খাওয়া যেমন হারাম, তেমনি ডাক্তারদের কমিশন খাওয়াও হারামথ . আবার একজন সম্মানিত ডাক্তার উনার মন্তব্যটি আমি হুবহু তুলে ধরছি
“তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুধু ডাক্তারদের কমিশন নয় সে পুরো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সিস্টেম নিয়ে কথা বলুন একটি সিবিসি( ঈইঈ) টেস্ট করতে ডাক্তারের কমিশন ছাড়াই কত টাকা খরচ হয় কিন্তু তার কত রাখা হয় এই উত্তরটি খুঁজতে একজন প্যাথলজি টেকনিশিয়ান খুঁজুন খুঁজুন খুঁজুনচ্।
আমাদের দেশে সাধারণ মানুষের একটি বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গিয়েছে সরকারি হাসপাতালে শুধুমাত্র গরিবেরা পাঁচ টাকা, দশ টাকা টিকেট নিয়ে ডাক্তার দেখাবেন যেহেতু তারা অশিক্ষিত, গরিব তাই সেখানে অনিয়ম, শোষণ হতেই পারে. কেউ কেউ বলেছেন সরকারি হাসপাতালগুলো সম্পর্কে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তেদর নাক সিঁটকানো ভাব রয়েছে বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা চিকিৎসা নিতে পারবেনা আবার লজ্জায় সরকারি হাসপাতালে যাবেন না, এখানেও পরিবর্তন আনা দরকার কারণ বর্তমানে সরকারি হাসপাতালগুলোতে সারা বাংলাদেশের কথাই বলা হচ্ছে অনেক আধুনিক ও উন্নত করা হয়েছে শিক্ষিত এবং উচ্চ শিক্ষিত লোকজন যখন এই সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা নিতে যাবে তখন অনেক অনিয়ম পরিবর্তন হবে। সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস এর ব্যাপারটা অনেকটা কমে যাবে এবং তারা হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতে বেশি নজর দিবেন এবং এ কথাটা সত্য যে উচ্চবিত্ত যারা আছেন তারা যদি সরকারি হাসপাতালে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে মাঝে চিকিৎসা সেবার জন্য পাঠান তাহলে পরিবর্তন তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।
টিআইবির সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন বেসরকারি খাতে চিকিৎসা সেবার মান ব্যাপক মানুষের হতাশা আছে বাস্তবসম্মত কারণে। হাসপাতাল ক্লিনিক এর নামে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, চলছে, সেখানে বাস্তবে যারা স্বশিক্ষিত সেবা দানকারী থাকার কথা তার বিপরীতে বিভিন্ন অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে সেবাদানকারীর সুযোগ নিচ্ছে। তিনি বলেন চাহিদার বিপরীতে সরবরাহের ব্যবস্থা সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু এ সংক্রান্ত আইনের ঘাটতির কারণে মুনাফাভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হয়েছে, সেখানে আইনের প্রয়োগের ঘাটতি এবং নিয়ন্ত্রণ ও তদারকিতে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে ফলে দেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই।
বেসরকারি চিকিৎসা খাতে অনিয়মের বেশ কয়েকটি দিক তুলে ধরা হয় টিআইবির পক্ষ থেকে
প্রথমত স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নেই
নিয়মিত তদারকি না থাকায় সেবার অতিরিক্ত মূল্য
চিকিৎসার নামে সম্পূর্ণ মুনাফাভিত্তিক বাণিজ্য চলছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ও সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় না প্রতারণা নির্ভর করছে অর্থাৎ অনেক সময় চিকিৎসার নামে প্রয়োজনের তুলনায় আরো বেশি ব্যয় সম্মত চিকিৎসা রোগীদের অফার করা হচ্ছে। কোন কোন অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিযোগ দাখিল সহ নিরসন প্রক্রিয়া কোন সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা ইফতেখারুজ্জামান বলেন এইটাতেও সরকারি খাতে চিকিৎসকদের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে এবং এ কারণে দুটি ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় সরকারি সেবা খাতে পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারছেন না, আবার বেসরকারি খাতে যখন আসছেন মানসম্মত চিকিৎসা দিতে পারছে না।
সম্মানিত ডাক্তারবৃন্দ যদি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন গ্রহণ না করেন ,তাহলে ইনশাআল্লাহ নিম্নলিখিত পরিবর্তনগুলো আসতে পারে রোগীরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত টেস্ট থেকে মুক্তি পাবে।
মানসম্মত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করতে রোগীদের রেফার করবেন।
টেস্টের মূল্য অতিরিক্ত হলে ডাক্তারবৃন্দ প্রতিবাদী হবেন।
ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষ মানসম্মত রিপোর্ট প্রদানে বাধ্য থাকবেন।
উপসংহারে আমরা বলতে পারি, দেশের সাধারণ মানুষ সম্মানিত ডাক্তারগণের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন গ্রহণের বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না। তাছাড়া বর্তমানে ঔষধ কোম্পানি গুলো যেভাবে ডাক্তারদের কে তাদের নিজস্ প্রডাক্ট বাজারজাতকরণের জন্য ডাক্তারদেরকে বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী অথবা আরও বেশী কিছু দিয়ে তুষ্ট করতে চাচ্ছেন, এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ নারাজ তাই ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর উচিত ডাক্তারদের কমিশন না দিয়ে রোগীদের টেস্টের খরচ কিভাবে কমানো যায় এ বিষয়গুলো ভাবা এবং ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসায়িক কৌশল পরিবর্তন আনা জরুরি যাতে করে সম্মানিত ডাক্তারবৃন্দ তাদের সেবামূলক পেশাটাকে সেভাবেই নিতে পারে এবং ডাক্তারদের পেছনে অতিরিক্ত টাকা খরচ না করে তাদের প্রোডাক্ট এর মান কিভাবে বাড়ানো যায়, ওষুধের মূল্য কিভাবে কমানো যায় এ বিষয়গুলো নিয়ে তারা গবেষণা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে করোনাভাইরাস থেকে হেফাজত করুন আমীন।