স্টাফ রিপোর্টার :

নাটোরে বিএনপির সমাবেশে হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায় । পরে আহত জেলা বিএপির নেতা শহিদুল ইসলাম বাচ্চুসহ ৩ জনকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছে।

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে শহরের আলাইপুরে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আলাইপুর রোডে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জেলা বিএরপির যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নাটোরে আজ সকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে শান্তিপূর্ন সমাবেশ ছিল। সমাবেশে যোগ দিতে জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু আসছিলেন। এসময় শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতারী কুপিয়ে চলে যায়। এতে তার পা-হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এছাড়াও বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক চোপ্পল সাব্বির, শ্রমিক দলের দফতর সম্পাদক রফিকসহ ৬ জন আহত হয়েছে। এ হামলা করেছে আওয়ামী-লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা বলে তিনি দাবী করেন।

এবিষয জেলা আওয়ামী-লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান জানান, আজ আওয়ামী-লীগের কেন্দ্রীয় কোন কর্মসূচী ছিলনা। যারা এঘটনা ঘটিয়েছে তারা দলের কেউ না, বিএনপি থেকে আসা। একজন বিশেষ ব্যক্তির সন্ত্রাসী বাহিনী তারা। বিএনপির একজন সিনিয়র নেতাকে দিনের বেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে রাজপথে কুপিয়ে আহত করা, এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। পুলিশ প্রশাসন কি করছে? তাদেরকে ধরছে না কেন? দল এজন্য দায় নিবেনা। এঘটনায় যারা জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়া হোক।

নাটোর পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি আছে জেনে সকাল থেকে তাদের কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যরা মোতয়েন ছিল। রাস্তার মধ্যে হামলা হয়েছে শুনেছি। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।