সমাজের ও রাষ্ট্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং ধর্মকে অবজ্ঞা করে এক শ্রেণীর মানুষ নিজেরাই নিজেদের ভুবনে সুখ, দুঃখ, কষ্ট, আনন্দ- বেদনা নিয়ে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথ অনুসরণ না করে, মিথ্যার রাজ্যে রাজত্ব করে চলছে। এরা স্বার্থপর, কুৎসিত ও পাষণ্ড হয়। দেশের মানুষ বা দেশের কথা ভাবার সময় নেই। পরোপকার, সেবা,আত্মত্যাগ, দেশ প্রেম শব্দগুলো তাদের কাছে অর্থহীন। সমাজ-সংসার অত্যন্ত বিরক্ত, অসন্তুষ্ট ও অপারগ হয়ে ঘৃণাভরে এদের কর্মের সাথে যোগ করে দিয়েছে খোর এবং এটাকে এক ধরনের গালি বলা চলে। সম্মুখে বললে ঝগড়া ফ্যাসাদ সৃষ্টি হয় , তাই আড়ালে বলে মনের ঝাল মিটিয়ে থাকে। যেমন সুদ, ঘুষ অত্যন্ত নিন্দনীয়, গর্হিত পাপের কাজ। এর সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের সুদখোর, ঘুষখোর বলা হয়ে থাকে। যারা নেশা করে জগত সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন তাদেরকে নেশাখোর বলা হয়ে থাকে। যারা জুয়ার নেশায় উন্মত্ত তারা জুয়াখোর।
বর্তমান সময়ে আলোচিত আরেকটি খোরের বিচরণ লক্ষণীয়, যা সহজে দৃশ্যমান নয়, অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সুনিপুণভাবে এরা কমিশন খাচ্ছে যা পূর্ববর্তী খোরদের চেয়ে অনেক ভয়াবহ কারণ এরা দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। এদেরকে সবাই চেনে জানে কিন্তু প্রতিবাদ করার সাহস নেই কারণ এরাই যে দেশের হর্তাকর্তা।
কষ্ট লাগে যখন দেখি মার্কেটিং পলিসির মিথ্যা প্রলোভনে সম্মানিত ডাক্তার , শিক্ষকগণও এই কমিশন খোর শব্দটি থেকে বাদ পড়েন না। প্রকাশনা সংস্থাগুলো কৌশলে শিক্ষকদেরকে উপহারের নামে এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো পার্সেন্টেজ অফার করে এই দুই মহান পেশার ব্যক্তিদের কলঙ্কিত করছে।
ইনশাআল্লাহ সেই দিন আর দূরে নয় যেদিন সম্মানিত ডাক্তারবৃন্দ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এবং শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ প্রকাশনা সংস্থা থেকে কোন ধরনের উপহার ,পার্সেন্টেজ গ্রহণ করবেন না।
শিক্ষকতা ও ডাক্তারি এই মহান পেশাগুলোকে কলঙ্কিত কবেননা, এ প্রত্যাশায় সকলের।আল্লাহ আমাদের সহায় হন।
(বিজ্ঞাপন)
(বিজ্ঞাপন)