শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে উপজেলার সন্ধ্যাকুড়া গ্রামের ভূমিহীন শাহ সুলতানের বসতঘর গুড়িয়ে দিয়েছে বনবিভাগ । ১২ নভেম্বর শনিবার দুপুরে স্থানীয় বনবিভাগ। শাহ সুলতান ওই গ্রামের মৃত ইসলাম উদ্দিন ফকিরের ছেলে।
শাহ সুলতান জানান, তার পিতা সন্ধ্যাকুড়া মহারশি সেতুর দক্ষিন পাশে সরকারি ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ১০ শতাংশ জমির উপর বসতবাড়ি নির্মান করে দেশ স্বাধীনের পূর্বে থেকেই বসবাস করে আসছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর থেকে শাহ সুলতান ওই বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন।
১ছেলে ২মেয়েসহ ৫সদস্যের পরিবার শাহ সুলতানের । সহায় সম্বল বলতে বাড়ির ১০ শতাংশ জমি ছাড়া আর কিছুই নেই। অভাব অনটন ও পরিবারের ভরনপোষণের তাগিদে সুলতান তার স্ব-পরিবার নিয়ে পারি জমান রাজধানী ঢাকায়। সেখানে তিনি দিনমজুরি কাজ করে দিনযাপন শুরু করে। ঈদ উৎসবসহ বিভিন্ন সময় নারীর টানে পরিবার পরিজন নিয়ে এলাকায় আসলে ওই কুঁড়ে ঘরেই থাকতেন তারা।
১২ নভেম্বর দুপুর ১২টার সময় শাহ সুলতান নদীতে গোসল করতে যায়। গোসল শেষে বাড়িতে এসে দেখে তার থকার কুঁড়েঘরটি বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে। সুলতান হাউমাউ করে কেঁদে কেঁদে বলেন আমার মাথা গোঁজার একমাত্র কুঁড়েঘরটি ভেঙ্গে তছনছ করে ফেলেছে।
এখন আমি কোথায় যাব। রাত কাটানোর জায়গাটুকুও তো আমার নাই। মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, কত বছর ধরে সেখা তারা বসৎ করছেন সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। জায়গাটি বনবিভাগের তাই উদ্ধার করা হয়েছে।