নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর “সোনার বাংলাচ্ গড়ার প্রত্যয়ে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে শুদ্ধাচার চর্চা বিষয়ক বিভিন্ন সূচকে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া উম্মুল বানিন-কে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। তিনি “গ্রেড ০৪-০৯চ্ ক্যাটাগরিতে শুদ্ধাচার পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন।
এ উপলক্ষে সোমবার দুপুরের দিকে শেরপুর জেলা প্রশাসক কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরুল হাসান-এঁর সভাপতিত্বে শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২৩-২৪ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল্লাহ্ আল খায়রুম শুদ্ধাচার পুরস্কার বিজয়ী নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া উম্মুল বানিন-এঁর হাতে পুরস্কার হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র ও এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ আর্থিক উপহারের চেক তুলেদেন। এসময় জেলা প্রশাসক কর্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য মতে, ১৮টি গুণাবলির ভিত্তিতে শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়। গুণাবলি গুলো হলো- কর্মচারীর পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, সততার নিদর্শন স্থাপন করা, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণ, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে আচরণ, প্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক নিরাপত্তা সচেতনতা, ছুটি গ্রহণের প্রবণতা, উদ্ভাবনী চর্চার সক্ষমতা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৎপরতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ, অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা করা।
শুদ্ধাচার পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে উল্লিখিত সূচকের ১০০ নম্বরের মধ্যে অবশ্যই ৮০ নম্বর পেতে হয়। তা না পেলে ওই কর্মকর্তা বা কর্মচারী শুদ্ধাচার পুরস্কার পাওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে বিবেচিত হবেন না। বিবেচিত কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত কর্মকর্তা শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হবেন। আর এসব বিবেচনায় নকলার ইউএনও শুদ্ধাচার পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাদিয়া উম্মুল বানিন ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নকলার ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন এবং ৫ মে (সোমবার) পূর্বাহ্নে নকলা উপজেলায় কাজে যোগদান করেন। এর আগে তিনি নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের আগে সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। ১৬ এপ্রিল নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে তিনি পদায়ন হন।
সাদিয়া উম্মুল বানিন ২০১৬ সালে ৩৪তম বিসিএস-এ প্রশাসন ক্যাডারে নির্বাচিত হয়ে ওই সালের পহেলা জুন তারিখে সহকারী কমিশনার হিসেবে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদানের মাধ্যদিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর থেকে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে নিষ্ঠার সহিত পালন করে আসছেন। তিনি বর্তমানে জেলা-উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকরণীয় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত।