গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। উজানে উন্নতি হলেও ভাটি এলাকায় অবনতি ঘটেছে। ভাটি এলাকায় নতুন করে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়ে শতশত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। দুর্ভোগ বেড়েছে পানিবন্দি মানুষের। সরকারি সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
গত শুক্রবার জেলার চেল্লাখালী,ভোগাই, মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ঢলের পানির তোড়ে নদীর পার ভেঙ্গে ও ঢলের পানি নদীর বিভিন্ন স্থানে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ঝিনাইগাতী,শ্রীবরদী, নকলা ও নালিতাবাড়ি উপজেলার প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। চেল্লাখালি নদীর পানির তোড়ে
২ টি বেইলী সেতু বিধ্বস্ত হয়। রাস্তাঘাট ভেঙে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে।
মহারশি নদীর রামেরকুড় বাধঁ ভেঙ্গে ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শ্রীবরদী উপজেলার ১০টি গ্রামসহ তিন উপজেলার ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
ঘরে ঘরে ঢলের পানি প্রবেশ করায় চোলা জ্বলছে না পানিবন্দি মানুষের। গবাদিপশু, হাসঁ মুরগীসহ গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা। রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচল অনুপযোগি হয়ে পরেছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে পুকুর তলিয়ে শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে যেতে শুরু হলেও
ভাটি এলাকায় নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পরেছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। পানিবন্দি কোন কোন এলাকার মানুষ কলার ভেলা ও নৌকা যোগে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শতশত মানুষের। দ্বিতীয় দফায় বন্যায় পানিতে ডুবে শিশুসহ ৪ জনের মৃত্য হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের মাঝে শুকনো খাবারসহ ত্রান তৎপরতা শুরু করা হয়েছে।
সোমবার ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম পানিবন্দি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ মানবিক সহায়তা হিসেবে মানুষের হাতে তুলে দেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ বলেন,ইতিমধ্যেই ১৫ মেট্রিকটন চাল ও ৪০০ পেকেট শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। বিতরন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।