শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কাপড়ের টুকরো ঘরেই দিন কাটাতে হচ্ছে অসহায় নারী মিনান্নাহার। মিনান্নাহার শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার অন্তর্গত নলকুড়া ইউনিয়নের – ফাকরাবাদ গ্রামের মোঃ বাহাজ উদ্দিনের বড় মেয়ে। বিয়ের পর থেকেই মিনান্নাহার তার স্বামীকে নিয়ে অনেক কষ্টের মাঝে সংসার চালিয়ে আসছে।
মিনান্নাহার এর স্বামী একজন দিন মুজুর – দৈনিক মানুষের বাড়িতে কাজ করে এবং তা দিয়েই, চলে মিনান্নাহারের সংসার। এভাবেই চলছিল তাদের কষ্টের জিবন।কিন্তু হঠাৎ তার স্বামী শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় নেমে আসে দুঃখের ছায়া। আজ প্রায় (১১) বৎসর যাবৎ অন্যের বাড়িতে কাজ করে চলছে মিনান্নাহার এর সংসার। চোখে জল আর মুখে মলিন হাসিই যেন মিনান্নাহার এর সহায় সম্বল।
অসহায় মিনান্নাহার বলেন, আমি (৩) টা ছেলে মেয়েকে টাকা পয়সার অভাবে ঠিকমতো একবার খেতে দিতে পারি না, অন্যের বাড়ি কাজ করে আমার স্বামীর জন্য ঔষধ কিনা থেকে শুরু করে – সংসারের সম্পুর্ন আমাকেই চালাতে হয়, আমাকে দেখার মতো বা পাশে দাড়ানোর মতো কেউ নাই। মিনান্নাহার আরও বলেন, অসুস্থ স্বামী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে আমি এতো কষ্টে আছি, এলাকার মেম্বার বা চেয়ারম্যান এর কাছে একটা ভিজিডি কার্ড এর জন্য গিয়েছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি, এমনকি (১০) টাকা কেজি চাল এর একটা কার্ডও চেয়েছিলেন, তবুও টাকা ছাড়া কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।
মিনান্নাহার আরও বলেন, সামনে তার আরও বিপদ, তার বাবার দেয়া পাঁচ শতাংশ জমির ওপর তার বসত বাড়ি, সেখানেই থাকেন একটা কাপড়ের টুকরো ঘরে, বৃষ্টির সময় অসুস্থ স্বামী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে, কিভাবে থাকবে।
এমন অবস্থায়, অসহায় মিনান্নাহার এলাকার প্রভাবশালী ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা কামনা করেন।