শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গৃহহীন আকবর আলীর ভাগ্যে জুটেনি একটি সরকারি ঘর। আকবর আলী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামের মৃত মান্দু শেখের ছেলে। পেশায় একজন দিনমজুর। শারীরিক অক্ষমতায় এখন তিনি কর্মহীন। সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই তার। নেই মাথাগুজার ও কোন ঠাই। ষাটোর্ধ্ব আকবর আলী নানান অশুখ বিশুখের কারণে কোন কাজ কর্ম ও হাটাচলাও তেমন করতে পারেন না । আকবর আলীর এক ছেলে বিয়ে সাদি করে ঢাকায় থাকে। তার সংসার চালাতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে তার। বাবা-মায়ের ভরনপোষণ যোগাবে কি দিয়ে। আকবর আলীর স্ত্রী হালিমা বেগম অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে। এতে যা পায় তাই দিয়ে স্বামী – স্ত্রী কোনরকমে চলে তাদের সংসার। একদিন কাজে যেতে না পারলে সেদিন প্রতিবেশিদের দয়ার উপর নির্ভর করতে হয়। অথবা খেয়ে না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে কাটে তাদের দিন । মাথাগুজার ঠাই না থাকায় গ্রামের লোকজন কয়েক ফর্দ পুরোনো ডেউটিন দিয়ে ছোট্ট একটি চালা ঘর করে দেন অন্যের বাড়িতে। ঘরটিও বসবাসের অনুপযোগী। আকবর আলী জানান গত প্রায় ১০ বছরে উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে একটি সরকারি ঘর চেয়ে বহুবার আবেদন নিবেদন করেছেন তিনি। কিন্তু কোনই কাজে আসেনি। ১০ টাকা কেজি দরের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির একটি কার্ড ছাড়া আকবর আলীর ভাগ্যে জুটেনি কোন সরকারী সাহায্য সহযোগিতা। বর্তমানে আকবর আলী তার স্ত্রীকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। আকবর আলী নিজেও জানেন না মৃত্যুর পুর্বে তার ভাগ্যে জুটবে কি না একটি সরকারি ঘর অথবা সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা। আকবর আলী জানান, প্রতিবছর গুচ্ছ গ্রামে বহু গৃহহীনদের ঘর দেয়া হচ্ছে। গত ১০ বছর ধরে প্রতিবছরই একটি সরকারি ঘর চেয়ে আবেদন নিবেদন করে আসছি। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। তিনি বলেন এবছরেও তিনি নতুন করে আবার ও একটি ঘরের জন্য উপজেলা জন্য আবেদন করেছেন। এলাকাবাসীর প্রশ্ন এবারও তার ভাগ্যে জুটবে কি? একটি সরকারি ঘর। তার নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রুকুনুজ্জামান বলেন তিনি সবে মাত্র দায়িত্ব গ্রহন করেছেন। বরাদ্দ পাওয়া গেলে তাকে পুনর্বাসনের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ বলেন পরবর্তীতে ঘর বরাদ্দ পাওয়া গেলে তাকে পুনর্বাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।