নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল হিসেবে পোড়াগাঁও, নন্নী, রামচন্দ্রকুড়া ও নয়াবিল ইউনিয়নকে বঁাছাই করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চলকে কাজু বাদাম ও কফির চাষ করে বাণিজ্যিক প্রভাব বিস্তার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্য পাহাড়ী এলাকা হিসেবে যেসকল ইউনিয়নে চাষের উপযোগী জমি পাওয়া যাবে সেখানে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কাজু বাদাম ও কফি চাষ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে কাজু বাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঁচ দিনব্যপী প্রশিক্ষণে পর্যায়ক্রমে ১৫০ জন কৃষক কৃষাণীকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় এনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আয়োজিত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি, শেরপুর, বিশেষষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুলতান আহমেদ, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি, শেরপুর।
উপজেলা কৃষি অফিসার, জনাব আলমগীর কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ওয়াসিফ রহমান।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের অডিটোরিয়ামে আয়োজনে ৫দিন ব্যাপী “পাহাড়ি এলাকায় কাজু বাদাম ও কফি চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা শীর্ষকচ্ কৃষক-কৃষাণীদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী প্রতিটি ব্যাচে ৩০ জন কৃষক-কৃষাণীদের মধ্যে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। উক্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর নির্দেশ পাহাড়ে কাজু বাদাম ও কফি চাষ বাড়াতে হবে। পাহাড়ের ভূমি কাজু বাদাম ও কফি চাষের জন্যে অন্যতম তাই কৃষক-কৃষাণীদের এ বিষয়ে অবগত ও উদ্বুদ্ধ করা।