তালায় ব্যক্তি মালিকানা জমিতে লাগানো গাছ জামায়েত নেতার নেতৃত্বে কর্তন করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে তালা উপজেলা খড়েরডাংগা গ্রামে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ,উপজেলার তালা সদর ইউনিয়নের খড়েরডাংগা গ্রামের মৃত মমিন উদ্দীন শেখের পুত্র হাকিম শেখ পারিবারিক ভাবে প্রাপ্ত জমিতে ৭-৮ বছর আগে একটি শিশু গাছ রোপন করেন। গাছটির কয়েক ফুট ধুরে সরকারী রাস্তা বহমান। পুকুর ভাঙ্গনের কারণে রাস্তাটি হাকিম শেখের জমির ভিতরে প্রবেশ করে। হাকিম শেখ তার জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা দিতে অস্বীকার করেন।তারপরেও সরকারী জমিতে রাস্তা নির্মাণের আশ্বাস মোতাবেক জনগণের সুবিধার্থে ত্যাগ শিকার করেন। সম্প্রতি তার মালিকানা গাছ কর্তন করার জন্য সরকারী দপ্তরে অভিযোগ করেন কিছু দুস্কৃতিকারীরা। তার বিপরীতে হাকিম শেখ রাস্তাটি সংস্কার পূর্বক বাধঁ দেওয়া পরে গাছ কর্তন করার কথা উল্লেখ করে মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে থানা ও উপজেলা দপ্তরে আবেদন করেন।
সেই আবেদন উপেক্ষা করে খড়েরডাংগা গ্রামের মৃত আলতাফ খাঁর পুত্র স্থানীয় বোরহান খাঁর নেতৃত্বে একই গ্রামের মৃত মমিন উদ্দীন শেখের পুত্র সিদ্দিক শেখ ও জাকির শেখ জোর পূর্বক গাছ কর্তন করে।
ভুক্তভোগী হাকিম শেখ জানান, আমি পারিবারিক ভাবে মাত্র ৪ শতক জমি পেয়েছি। তার মধ্য পুকুর ভাঙ্গনের কারনে রাস্তাটি আমার জমির আইলে প্রবেশ করে। এবং সেখানে ৭-৮ বছর আগে রোপন করা শিশু গাছ আজ মঙ্গলবার সকালে বোরহান খাঁর নেতৃত্বে জোরপূর্বক কর্তন করা হয়। একতো রাস্তাটি আমার জমির ভিতরে প্রবেশ করেছে অপরদিকে আমার গাছটি জোরপূর্বক কর্তন করলো। ইস বড় ক্ষতি হয়ে গেল আমার।
ঘটনার বিষয় বোরহান খাঁ বলেন,আমি গাছ কর্তনের সময় ছিলাম না। আর যেহেতু থানা ও ইউএনও অফিসে অভিযোগ করেছি সেখান হতে গাছ কর্তন করার সময় বেধেঁ দেওয়া হয়। এজন্য সময় পার হওয়ার কারনে পুলিশ সদস্য শামীমের নির্দেশ মোতাবেক গাছ কর্তন করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয় এএসআই শামীম বলেন,থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে আমি সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। তবে গাছ কর্তনের কথা আমি সেখানে বলিনি। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি এএসআই শামীমের কাছে। অতিদ্রুত একজন এসআই এর মাধ্যমে ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।