আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা ফিলিসন দালবদের পরিবারের সদস্যদের দিনকাটে অনাহারে অর্ধাহারে। ফিলিসন দালবদ শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানিশিমুল ইউনিয়নের বালিজুরি খ্রিষ্ঠান পাড়া গ্রামের গবীর ম্রংএর ছেলে। পৈতৃক ভিটা বাড়ি ছিলো শেরপুর শহরের কসবা মহল্লায়। জানা গেছে ১৯৭১ সালে ফিলিসন দালবদ ও তার ছোট ভাই সম্রাট দালবদ ভারতে অবস্থান নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। ভারতে প্রশিক্ষন গ্রহন করে ১১ নং সেক্টরে ওই যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহিদ হন সম্রাট দালবদ। দেশ স্বাধীনের পর ফিলিসন দালবদ দেশে ফিরে এসে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে অবশেষে শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি খ্রিষ্ঠানপাড়ায় সামিলা ম্রংকে বিয়ে করে জামাই হিসেবে ওই বাড়িতেই অবস্থান করেন। যে বাড়িতে ফিলিসন দালবদ বসবাস করতেন বাড়ির জমিটুকু ও ছিলো বনবিভাগের। দিনমজুরি করে চলতো তার সংসার। যে ঘরে বসবাস করতেন সে ঘরটি ছিলো বসবাসের অনুপযোগী। অসচেতনতা ও আর্থিক দৈনতার কারনে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাটি ও জুটেনি ফিলিসন দালবদের ভাগ্যে। অভাব অনটন দুঃখ আর দুর্দশার মধ্য দিয়ে ফিলিসন দালবদ তিন সন্তানের জনক হন। ২ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে মেয়ে সুরমা ম্রংএর দিয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয় ছেলে নিকেন্দ্র ম্রং ও তৃতীয় ছেলে হৃদয় ম্রং পড়াশোনা করে। ফিলিসন দালবদের স্ত্রী সালিমা ম্রং জানান ২০১৯ সালে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম তার স্বামীর মৃত্যু হয়। ফলে পরিবারটি পরে অর্থসংকটে। বর্তমানে ২ ছেলেকে নিয়ে অতিকষ্টে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে সালিমা ম্রং।সরেজমিনে দেখা গেছে সালিমা ম্রং এর থাকার ঘরটি বসবাসের অনুপযোগী। সালিমা ম্রং জানান, তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা হলেও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পায়নি। তবে তিনি বলেন ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার কল্যান তহবিল থেকে তার স্বামীর ফিলিসন দালবদের নামে এক লাখ টাকার একটি চেক পাঠান। শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চেকটি তার স্বামীকে দেয়া হয়। সালিমা ম্রং বলেন তদ্বিরের অভাবে তার স্বামী ফিলিসন দালবদের নামে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাটি আজো হচ্ছে না। এব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।