শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় চালককে নেশাদ্রব্য খাওয়ানোর পর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার শিমুলতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অটোরিকশা ছিনতাইকারীদের এলাকাবাসী আটক করে থানায় খবর দেয়। আটক হওয়া দুই ব্যক্তিকে রাতেই পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আহত ওই অটোচালকের সঙ্গে কথা বলে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আটক হওয়া দুই ব্যক্তি হলো কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার গোনারচড় গ্রামের জামাল উদ্দিন (৪৮) ও মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার দক্ষিণ মাওতালি গ্রামের বজলুর রহমান (৫০)। এদিকে নেশাদ্রব্য খেয়ে অসুস্থ অটোরিকশাচালক শফিকুল ইসলাম (২৮) নকলা উপজেলার হাসনখিলা গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে। শফিকুল এখন নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও ওই চালকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে নকলা থেকে জামাল ও বজলুর শফিকুলের অটোরিকশায় ওঠে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে নালিতাবাড়ীর শিমুলতলা পল্লিবিদুৎ স্টেশনের কাছে বাজারে অটোরিকশা থামাতে বললে অটোরিকশা থেকে নেমে জামাল ও বজলুর বাজারের একটি দোকান থেকে জুস কিনে তাঁরা একটি বন্ধ দোকানের সামনের বেঞ্চে বসে জুস পান করে। এসম তাঁরা চালক শফিকুলকেও জুস পান করতে অনুরোধ করলে অটোরিকশা থেকে নেমে শফিকুল তাঁদের সঙ্গে জুস পান করেন।
এ সময় সেখানে কিছুটা দূরে বসে থাকা সজীব নামের এক তরুণ বিষয়টি খেয়াল করে দেখছিলেন, হঠাৎ অটোরিকশা চালক শফিকুলকে বেঞ্চ থেকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখেন। এরপর ওই তরুণ দ্রুত বিষয়টি বাজারের লোকজনকে ডেকে জানালে তাঁরা জামাল ও বজলুরকে আটক করে। এ সময় এলাকাবাসী শফিকুলকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত ওই দুই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. সাব্বির হোসাইন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বলেন, ওই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নেশাদ্রব্য খাওয়ানোর ফলে সারা রাত তিনি অজ্ঞান ছিলেন। সকাল থেকে হাত ও পা নাড়াচ্ছেন। অস্পষ্টভাবে কিছু কথাও বলছেন।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বলেন, পুলিশ হেফাজতে থাকা দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার হওয়া বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর, নরসিংদীর পলাশপুর ও জয়দেপুর থানায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। আর জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় দুটি মাদক মামলা রয়েছে। তিনি আরোও বলেন, অটোরিকশা চালকের সঙ্গে কথা বলে থানায় মামলা নেওয়া হবে। সর্বশেষ দেওয়া তথ্যমতে আসামিদেরকে তাদের নিজ এলাকায় তদন্তের জন্য অভিযান পরিচালনা করছে থানা পুলিশ।