শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে এক নারীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার বিকালে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। তিনি নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কাপাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
নারী ও তাঁর পরিবার জানান, ছয় বছর আগে ওই নারীর বিয়ে হয়। পরে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় দুই বছর আগে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর ঐ নারী তাঁর বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এই সুযোগে জাহাঙ্গীর ঐ নারীর বাড়িতে আসা–যাওয়া শুরু করেন। একপর্যায়ে ঐ নারীর সাথে জাহাঙ্গীরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ওই নারীকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন জাহাঙ্গীর। ঐ নারী বিয়ে করতে চাপ দিলে জাহাঙ্গীর বিয়ে করছি বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর ঐ নারীর কক্ষে পুনরায় প্রবেশ করেন। সে সময় ঐ নারীকে বিয়ের কথা বলে আবারও শারীরিক সম্পর্ক করেন জাহাঙ্গীর,আবার বিয়ে করার কথা বলেন। বিয়ের কথা বলায় সে সময় জাহাঙ্গীর ঐ নারীকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন এবং বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। তখন ঐ নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন এবং অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরকে ধরতে চেষ্টা করেন। এ সময় জাহাঙ্গীর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঐ নারী তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নালিতাবাড়ী থানায় আসেন। পরে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। পুলিশ বিকালে জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পরে তাঁকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, দুপুরে ঐ নারী থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেন। আগামীকাল ঐ নারীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং গ্রেফতার হওয়া ঐ ব্যক্তিকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।