এস.এম. রুহুল তাড়াশী,
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জনাব মোঃ মারুফ হোসেন( পিপিএম)
অতিরিক্ত ডিআইজি, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ ফোর্সের বিশেষ অভিযানে এবং র্যাব-৩ এর সহযোগীতায় গত ২৬ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ দিবাগত রাতে ঢাকার হাতিরঝিল থানাধীন বাংলা মোটর এলাকা হতে উক্ত হত্যা মামলার মূল হোতা এজাহার নামীয় পলাতক আসামি গ্রেফতার করা হয়।
নিহত সম্রাট(৩০), পিতা- মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, সাং- মধ্য অরনকোলা রিফুজি কলোনী, থানা-ঈশ্বরদী, জেলা- পাবনা।
প্রায় তিন বছর যাবত রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিকিম কোম্পানীর পরিচালকের গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
চালক সম্রাট প্রতিদিন রাত ১০.৩০ মিনিটের মধ্যে ডিউটি শেষে নিজ বাড়িতে ফেরত যেতেন।
কিন্তু ২৩ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ চালক সম্রাট ডিউটি শেষে নিজ বাড়িতে না ফিরলে, তার পরিবারের লোকজন তার মোবাইলে ফোন দিলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পায়। পরবর্তীতে ২৪ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ নিকিম কোম্পানীর অন্য চালকদের কাছে নিহতের বাবা সম্রাটের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় যে চালক সম্রাট ২৩ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ রাত্রী ৮.১০ ঘটিকায় রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে ডিউটি শেষ করে অফিসের চজঅউঙ গাড়ি যাহার নং- ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-৪৭৪৮ নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে যায়। তখন পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে তারা জানতে পারে যে সম্রাট অফিসের চজঅউঙ গাড়িসহ বাঁশেরবাদা মধ্যপাড়ায় তার পূর্ব পরিচিত বন্ধু মোঃ আব্দুল মমিনের বাসায় গিয়েছিলো।
সেই সূত্র ধরে সম্রাটের পরিবারের লোকজন মমিনের বাসায় গিয়ে মমিন কে না পেয়ে মমিনের স্ত্রী মোছাঃ সীমার কাছে সম্রাটের ব্যাপারে জানাতে চাইলে সে উত্তেজিত হয় এবং সম্রাটের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলা হতে বিরত থাকে।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আব্দুল মমিন(৩২), পিতা-মোঃ বাহাদুর খাঁ, সাং-বাঁশেরবাদা মধ্যপাড়া(দোকানপাড়া), থানা-ঈশ্বরদী, জেলা-পাবনাকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করেছে
চালক সম্রাটকে ও তার চালিত গাড়ি খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ২৫ মার্চ ২০২৩ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানাধীন চর সাদিপুর ইউপিস্থ আড়িয়াবান্দা গ্রামের সিলাইদহ ঘাট নামক স্থান হতে কুমারখালী থানা পুলিশ একটি সাদা জিপ গাড়িসহ চালক সম্রাটের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে। আটক আসামি মোঃ আব্দুল মমিনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধারনা করা হয় পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কের কারনে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার বসবর্তী হইয়া হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে পারে।
উক্ত হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে পাবানা জেলার ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং-৫৮, তারিখ-২৫/০৩/২০২৩, ধারা ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। হত্যাকান্ডের পর থেকেই আসামি মমিন আত্মগোপনে চলে যায়। পলাতক এজাহার নামীয় আসামি মমিনকে গ্রেফতারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করতঃ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।