বছর তিনেক আগে বয়স্ক ভাতার জন্য সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়াডে’র সদস্য আনোয়ার হোসেনের কাছে জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়েছিলেন সিরাজগঞ্জে তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের হেমনগর উওর পাড়া গ্রামের শতবর্ষী আবেদ আলী (১১৬)। জাতীয় পরিচয় পএ অনুযায়ী জম্ন ১৯০৭ সালের ৭ফেব্রুয়ারি। এরপর ইউপি সদস্যের “চাহিদা ” পূরণ না করতে পারায় বৃদ্ধ আবেদ আলীর আর বয়স্ক ভাতা হয়নি। এমন কি তাঁর জাতীয় পরিচয় পএটি এখনও ওই ইউপি সদস্যের কাছেই পড়ে আছে। এ দিকে ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের মেয়াদ শেষে তিনি সাবেক হয়ে গেছেন। নতুন ইউপি সদস্য নিবা’চি’ত হয়েছেন ওই ওয়াডে’র সুজন সরদার। তাঁর কাছে ও বছর খানেক ধরে বয়স্ক ভাতার জন্য ধরনা দিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে শতবষী’ আবেদ আলী ভিক্ষা বৃত্তি কষ্টে জীবন নিবা’হ করেছেন এখন। জানা গেছে, উপজেলার হেমনগর নদীর উত্তর পাড়া গ্রামের আবেদ আলীর সম্পদ বলতে কিছুই নেই। ৬ মেয়ে ও এক ছেলের জনক তিনি। স্ত্রী গত হয়েছেন অনেক আগেই। মেয়ে ও ছেলেরা বিবাহিত ছেলের পৃথক সংসার। স্ত্রীর নামে ছিল চার শতকের বসত ভিটা। সেটা তিনি ছেলের নামে দলিল করে দিয়ে গেছেন। আর সে বাড়িতে একটি ঝুপড়ি ঘরে স্বামী পরিত্যাক্ত মেয়ে তছরিন নেছাকে নিয়ে বসত করেন বৃদ্ধ আবেদ আলী।তছিরন তাঁর বৃদ্ধ বাবা আবেদ আলীকে রান্না বান্না করে দেন। প্রতিবেশী ফেরদৌস জানান, তবে ভিক্ষাবৃত্তিতে যা পান তাই দিয়ে বাবা মেয়ের খাওয়া পড়াই চলে না । এদিকে আবেদ আলী বয়সের ভারে ন্যুজ তারপরও প্রতিদিন ভিক্ষা করতে হয় । আবেদ আলী জানা, প্রতিদিন ওষুধ খেতে হচ্ছে। কিন্তু যে চাল পাই তা দিয়ে নিজের খাওয়া পড়াই চলেনা কি করে ওষুধ কিনে খাই। তাই একটি বয়স্ক ভাতার কাড’ পেতাম বা সরকারি সহযোগিতা পেতাম তাহলে শেষ জীবনটা ভালো ভাবে কাটত। অবশ্য সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান , আমি অনেক চেষ্টা করছি বৃদ্ধ আবেদ আলীর বয়স্ক ভাতার কার্ড করার জন্য কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে আর হয়ে ওঠেনি। আর বর্তমান ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুজন সরদার জানান, আগামীতে আবেদন নেওয়া শুরু হলেই বৃদ্ধ আবেদ আলীর বয়স্ক ভাতার কাড’ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, অনলাইনে আবেদন শুরু হলেই আমি প্রথম ওই বৃদ্ধের বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেব । তাড়াশ উপজেলার সমাজ সেবা কর্মকর্তা কে এম মনিরুজ্জামান “দৈনিক সময়ের” দেশকে জানান, আমি বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। আশা করছি আগামীতে আবেদন শুরু হলে বৃদ্ধ আবেদ আলী বয়স্ক ভাতা কাড’টি পেয়ে যাবেন ।