সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার চলনবিলবাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। বিস্তীণ’ মাঠ যেন সবুজের মাঠে হলুদ ফুলের সমারোহ। হলুদে হলুদে মোড়ানো সরিষার ফুলে ছেয়ে আছে চলবিলের পুর মাঠ। প্রকৃতি সেজেছে তার আপন মহিমায়। মৌমাছির মৌ মৌ গন্ধে সরব হয়ে উঠেছে সরিষার ক্ষেত। চলবিলে বিস্তৃণ’ মাঠ সরিষার ক্ষেত বলে দিচ্ছে বড় কোন প্রাকৃতিক দুযো’গ না হলে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হবে। চলনবিলের কৃষকের চোখে আনন্দের ঝিলিক। সরিষার তেলের রয়েছে ওষুধিগুন। আর সরিষার খৈল জমির উব’রা শক্তি বৃদ্ধি করে এবং সরিষার গাছ জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া জমিতে সরিষারআবাদ করলে ও জমিতে সরিষার পাতা পড়ে জমির খাদ্য চাহিদা অনেকাংশ মিটিয়ে এবং খরচ কম হওয়া চলনবিলে সরিষার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে । সরেজমিনে বিভিন্ন গ্রামের মাঠ ঘুরে ও সরিষার চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে -চলতি মৌসুমে প্রতিবিঘা জমি থেকে ৭-৮ মণ সরিষাউৎপাদন হব।চলতি মৌসুমী আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সরিষার ক্ষেত্রে রোগ বালাই কম হাওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন চলন বিলের কৃষকেরা।চলনবিলের কৃষক মোহাম্মদ আলী (৪৫) জানান, প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা প্রতি মন সরিষার বর্তমান বাজারে সরিষার দাম কেজি প্রতি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা এবং মানুষ রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করায় এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। চলনবিলের কৃষকেরা মনে করেন সঠিক সময়ে বীজ, সার, ও অন্যান্য উপকরন সরবরাহ সরকার নিশ্চিত করায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।