ভোজ্য তেলের কোন ঘাটতি না থাকলেও ডিলারদের কারসাজিতে বাজারে সয়াবিন তেলের ‘কৃত্রিম সংকটথ তৈরি হয়েছে বাণিজ্যিক শহর নীলফামারীর সৈয়দপুরে। সেই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে।ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতে তেলের মজুত করে করছেন। এ ব্যাপারে তাঁরা প্রশাসনের কাছে বাজার তদারকির দাবি জানান।
সরেজমিনে কয়েটি দোকান ঘুরে দেখা যায়, বাজার ভেদে লিটার প্রতি তেলের দামে একেক রকম। কেউ ১৭০ টাকা, কেউ ১৯০ টাকা প্রতি লিটার তেল বিক্রি করছে।
দোকানীরা বলছেন, গায়ে লেখা ১৬৮, তবে বিক্রি করছি বেশি দামে। কারণ আমরাও ডিলারদের কাছ থেকে বেশি রেটে তেল কিনেছি।
বড় বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, মার্চ মাসের প্রথমদিন থেকেই ডিলারদের কাছ থেকে তারা তেল পাচ্ছেন না। ডিলারের অজুহাত হল কোম্পানি থেকে সাপ্লাই দিচ্ছে না। গত ১৫ দিন থেকে আর নতুন তেল কিনতে পারিনি। এছাড়া এখানকার প্রতিটি দোকানে ৫ লিটারের তেল নেই। বেশিরভাগ দোকানে ১ লিটার ও ২ লিটারের তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক আতিক আলম বলেন, সরকারের নির্ধারিত দাম অনুযায়ী বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ মূল্য ১৬৮ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৭৯৫ টাকা। আর খোলা সয়াবিন লিটার প্রতি ১৪৩ টাকা বিক্রি হবে। কিন্তু শহরের কোন বাজার কিংবা পাড়া-মহল্লার দোকনেও এ দামে তেল বিক্রি হয়নি। সব জায়গায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ঠদের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি।
নীলফামারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শামসুল আলম বলেন, বাজারে এখনো তেল রয়েছে। ডিলাররা বিক্রি না করে মজুত করছে এমন সত্যতা পেলেই জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হবে