শীত মৌসুমের শুরু থেকেই সৈয়দপুরের রেললাইন ঘেষে ফের বসতে শুরু করেছে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানপাট। প্রায় প্রতিদিনই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সর্বশ্রেণীর ক্রেতারা ভিড় করছেন ওই সব দোকানে। যে কোন সময় ট্রেন চলাচলে ঘটে যেতে পারে প্রাণহানির ঘটনা। রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার লোকমারফত ও পৌর পরিষদ দৈনিক হারে ওই সব দোকান থেকে অর্থ আদায় করায় প্রাণহানির ঝুকির ব্যাপারে দোকানি সহ কেউই আমলে নিচ্ছেন না।
শহরের নতুন বাবুপাড়ার আমিরুল ইসলাম আরমান জানান শীত মৌসুমে রেললাইন সংলগ্ন অনেক মানুষ পুরাতন গরম কাপড় বিক্রয় করতে শুরু করেন। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের সমাগমও ঘটে প্রচুর। শীতের তিব্রতা বাড়ার সাথে সাথে রেললাইনের পাশে ব্যাবসায়ির সংখ্যাও বাড়তে থাকে। তবে যে কোন সময় যে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে তা কেউই ভেবে দেখছেন না। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ও দুর্ঘটনা এড়াতে রেললাইন সংলগ্ন সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা জরুরী বলে মনে করছেন তিনি।
রেললাইন ঘেষে বসা এক দোকানি জানান রেললাইনের পাশে দোকান বসানো আসলেই ঝুকিপূর্ন। কিন্তু সংসারের কথা ভেবে ঝুকির মাঝেও দোকান বসানো হয়েছে। তাছাড়া বাজারে এক একটি দোকানের ভাড়া ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। উপরি এডভান্সের মোটা অংকের অর্থ না দিলে দোকান মিলে না। সেখানে রেললাইনের পাশের্ব দোকান বসালে স্টেশন মাষ্টারকে প্রতিদিন ২০ টাকা আর পৌর পরিষদকে দৈনিক ১০ টাকা দিলেই হয়।
ট্রেন চালক সবুজ জানান সৈয়দপুর শহরের ১ নং রেল গুমটি থেকে রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ঝুকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করতে হয়। রেললাইনের দুপাশ ঘেষে গড়ে উঠেছে প্রায় হাজার খানিক পুরাতন গরম কাপড়ের দোকান সহ হোটেল রেস্তোরা ও প্লাষ্টিক সামগ্রীর দোকান। পার্বতীপুর থেকে সৈয়দপুর দ্রুত গতিতে ট্রেন চলাচল করার কথা থাকলেও পুরাতন গরম কাপড়ের দোকান সংলগ্ন এলাকায় সতর্কতা অবলম্বন করে একেবারেই ধীর গতিতে চলাচল করতে হচ্ছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শওকত আলী জানান, যারা স্টেশন মাস্টারের কথা বলে অবৈধ ভাবে বসা দোকানিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে তাদের চিহ্নিত করে অবৈধ ভাবে বসা সকল দোকান পাট উচ্ছেদ করা দরকার। তিনি বলেন ট্রেন চলাচলে সুবিধা নিশ্চিত এবং দূর্ঘটনা এড়াতে ওইসব দোকান পাট উচ্ছেদের জন্য উপর মহলকে অবগত করা হয়েছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বিশ্বাস জানান রাজনৈতিক কিছু নেতার দাপট দেখিয়ে দোকানীরা রেল লাইন ঘেষে দোকানপাট গড়ে তুলেছেন। যা ট্রেন চলাচলে ঝুকিপূর্ণ। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটতে পারে যেনেও দোকানীরা দোকান বসিয়েছেন। উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অবৈধ সকল দোকানপাট উচ্ছেদ করা হবে বলে জানান তিনি।