নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে ২০ হাজার টাকায় নবজাতক পুত্র সন্তান বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অতঃপর গণমাধ্যমকর্মী ও পুলিশের তৎপরতায় নবজাতক সন্তানটি উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাঁসপাতালে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, শহরের নিচু কলোনি এলাকার বাসিন্দা মোঃ নাদিমের স্ত্রী জোসনা বেগম (৩২) প্রসবকালীন ব্যাথা নিয়ে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে হাঁসপাতালে ভর্তি হন। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তিনি একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এরপরই বাবা মা ওই নবজাতককে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় একই এলাকার জমিলা খাতুনের কাছে।
শহরের কুন্দল এলাকার রফিক মিয়া বলেন, হাসপাতালের গেটে নবজাতকের বাবার সাথে একজন মহিলার চুক্তিপত্র সম্পাদন হতে দেখি। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর শেষে মহিলাটি নবজাতকের বাবার হাতে টাকার বান্ডিল তুলে দেন।
মুহূর্তেই খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকর্মী ও সৈয়দপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা আব্দুর রহিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্রি হওয়া নবজাতককে উদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠেন। বেলা ১১ টার দিকে একই এলাকার জনৈক লিকা আক্তারের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নবজাতককে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবজাতকের মা জোসনা বেগম জানান, জমিলা খাতুন তার দূরসম্পর্কীয় ফুপাতো বোন। তার কোন সন্তান না থাকায় তাকে স্বেচ্ছায় সন্তানটি দিয়েছিলাম। তবে সে আমার চিকিৎসার খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকা দিয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ নবিউর রহমান জানান, সকাল ১০ টার দিকে ঘটনাটি জানতে পেরে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওমেদুল হাসান সম্রাট ও গাইনি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মাসুদা আফরোজকে নিয়ে ওই ওয়ার্ড পরিদর্শন করি। সে সময় জোসনা বেগমকে দেখতে পাই কিন্তু নবজাতককে দেখতে পাইনি।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসানাত খান বলেন, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নবজাতক উদ্ধার করেছে। নবজাতক বিক্রির অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।