এস,এম,রুহুল তাড়াশী, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:-
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সাহারী আর ইফতারের নতুন ভোগান্তির নাম বিদ্যুৎ লোডশেডিং। ভোগান্তির শিকার তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর গ্রাহকগণ।
রমজান মাস, একদিকে রোদের তীব্র প্রকোপ অন্যদিকে লোডশেডিং-এর অসহ্য যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। দৈনন্দিন জীবনে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ আর উৎকন্ঠা। অনেকে বিরক্তি প্রকাশ করে দিচ্ছেন ফেসবুকে পোস্ট।
প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে যখন নাভিশ্বাস তখন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘার মতো যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত লোডশেডিং। অতিষ্ঠ তাড়াশ উপজেলা সহ সারা দেশের মানুষ। দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং এর চিত্র দেখা মিললেও, তাড়াশ উপজেলা তা যেন কয়েকগুণ। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে মারাত্মক প্রভাব। স্থানীয়রা এতে খুবই অতিষ্ট। বলতে গেলে এ উপজেলায় ২৪ ঘণ্টায় ১০-১২ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে কিনা সন্দিহান। এই উপজেলার প্রায় কয়েক লাখ মানুষ ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ। গৃহস্থলির কাজকর্ম থেকে শুরু করে চিকিৎসা, শিক্ষা, শিল্প–কলকারখানা ও কৃষিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
রমজান মাস উপলক্ষে মানুষের সচারাচর খাবার তালিকায় বেশ ধরনের উপকরণ যেমন সবজি, মাছ আর ইফতার সামগ্রী মজুদ থাকে। যা ফ্রিজ কিংবা হিমাগারে মজুদ থাকে। কিন্তু দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজের খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে তাঁদের পক্ষে জীবন যাপন করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকা আর বিদ্যুৎ বিভ্রান্তের এই ভেলকিবাজিতে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না। ফলে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। এছাড়া শিক্ষার্থীরাও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছেন না। বলতে গেলে জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে এই লোডশেডিং তথা বিদ্যুৎ বিভ্রাট!
মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোছাঃ তানিয়া সুলতানা (জুতি) জানান, আগামী ৩০ জুন পরীক্ষা শুরু, একদিকে গরম অপর দিকে বিদ্যুৎ লোডশেডিং সমস্যায় লেখা পড়ায় চরম বিঘ্ন ঘটছে।
ভুক্তভোগীরা গ্রাহকেরা জানান, মধ্যরাতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে লোডশেডিং। গরমে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষের অবস্থা বিপর্যায়ের মুখে।
তাড়াশ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা জানান, অন্যান্য ওয়ার্ডের তুলনা আমাদের ওয়ার্ডে লোডশেডিং বেশি হয়ে থাকে। প্রতিদিন ইফতারের আধা-ঘন্টা আগে এবং তারাবির নামাজের সময় ও সাহ্রি ও তারাবি নামাজের সময়ও লোডশেডিং হচ্ছে।বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের এমন চিত্রে মানুষের মাঝে বিরুপ প্রভাব ফেলার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে অসহনীয় যন্ত্রণা। তারা রীতিমতো বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন। তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের এমন কান্ডের পিছনে কি রহস্য? উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেশি নাকি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ফল। যার ফলে এমন চিত্র দেখে অভ্যস্ত হতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। এর একটা বিহীত চাই। দ্রুত এর সমাধান করে বিদ্যুৎ বিভ্রাট কমিয়ে আনা হোক।