স্বপন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও তানোর এর কৃতী সন্তান স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষ থেকে তানোর – গোদাগাড়ী উপজেলার সর্বস্তরের জনগণসহ দেশবাসী ও প্রবাসীদের ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তানোর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জননন্দিত নেতা লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, মুসলমানদের ত্যাগ ও শিক্ষার জন্য বিশেষ দিন ঈদ উল আযহার দিন। একই সঙ্গে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ও সামাজিক সাম্য সৃষ্টির একটি উদাহরণও এই দিনটি। ঈদ উল আযহা শব্দের অর্থ হলো, (ত্যাগের মহিমা) হযরত ইব্রাহিম (আঃ) যখন তার প্রিয় পুত্রকে কুরবানী দেওয়ার জন্য আরাফাতের ময়দানে নিয়ে যান, তখন শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার হুকুম মোতাবেক হযরত ইব্রাহিম এই ত্যাগ করেন। কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী সেদিন হযরত ইব্রাহিম এর পুত্র কুরবানী না হয়ে একটি পশু কুরবানী হয়েছিল।
তখন থেকেই কুরবানী প্রচলন শুরু হশ। তাই গতানুগতিক পদ্ধতিতে এখনো পশু কুরবানী দিতে হয় বা দেওয়া প্রচলন চালু হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র পশু কুরবানী দেওয়াটাকেই কোরবানি বলা হয় না। কুরবানির অর্থ হলো আমাদের মনের ভেতর যে অহংকার -অহমিকা, লোভ – লালসা আছে সেগুলো কুরবানী দিতে হবে। তাহলে আমরা খুব সুন্দর একটি সমাজ ও দেশ গঠন করতে পারব। কোরবানির ঈদের মাধ্যমে আমরা যে ত্যাগের চর্চা করি, নিজেদের আশেপাশের অসহায়-দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়াই। তাহলেই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়বে সবার মধ্যে। সবাইকে ঈদ উল আযহার
অগ্রিম শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক- ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি পরিবারের। পশু কোরবানির পাশাপাশি আমরা প্রত্যেকে যেনো মনকে পবিত্র করি, সব ধরনের উগ্রবাদ পরিহার করি, ধৈর্যশীল হই, স্বার্থ ত্যাগের চর্চা বাস্তবায়ন করলেই পরিপূর্ণতা পাবে এই পবিত্র দিনটি। সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক।