জাহাঙ্গীর আলম (ব্যুরো প্রধান) কাপাসিয়া ঃ
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। সে বিভিন্ন বাজারে পাগলি বেশে ঘুরে বেড়াতো। হঠাৎ করেই তার এই বাচ্চা প্রসব এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।গত শনিবার দুপুরে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রাওনহাট বাজার এলাকায় ওই নারী একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয়। ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল) থাকায় নিজের নাম পরিচয় ও বাচ্চার পিতৃপরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী নারী রুবি আক্তার জানান, সংবাদ পেয়ে এসে দেখি পাগলি মহিলা নিজে নিজেই বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। আমি তাড়াতাড়ি করে বাচ্চা ধরে এলাকার আরো কয়েকজন মহিলার সাহায্য নিয়ে পাশের টিউবওয়েল এর পানি দিয়ে বাচ্চাটিকে পরিষ্কার করি। পরে বাচ্চাটিকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যাই।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর ছেলে সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে রাওনাট বাজার এলাকায় ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম মোল্লা। তিনি বলেন, ‘এসে দেখি কয়েকজন নারী ওই পাগলির বাচ্চাটির গায়ের ময়লা পরিষ্কার করতেছেন। আরও কয়েকজন নারী ওই পাগলিকে পরিষ্কার করাচ্ছেন। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পুলিশ চলে আসে।’
মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়টি কাপাসিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন গতকাল সন্ধ্যার দিকে জানতে পারেন। তিনি বলেন, ‘ওই নারী ও তাঁর সন্তানকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সমাজ কর্মীকে হাসপাতালে পাঠাই। সন্তানসহ ওই নারী সুস্থ হওয়ার পর তাঁদেরকে স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. মামুনুর রহমান জানান, ‘গতকাল দুপুরের দিকে নবজাতকসহ এক নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে জানা যায় তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। বাচ্চাটির ওজন অনেক কম থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ রোববার দুপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকেও ওই হাসপাতালের মানসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। মা ও ছেলে ভালো আছেন। ওই নারীর পরিচয় জানা যায়নি।