মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কাপাসিয়া ব্যুরো প্রধানঃ
আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার। এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজ বাস্তবায়ন হতে চলছে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত কাপাসিয়া উপজেলা। দিবারাত্র শ্রম দিয়ে যাদের নিরলশ প্রচেষ্টায় গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হতে যাচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম প্রশংসিত মানুষটি হলেন, কাপাসিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ.কে.এম গোলাম মোর্শেদ খান।তিনি বলেন, মুজিব শতবর্ষে বিশেষ উপহার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া গাজীপুর জেলার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ১ম পর্যায়ে কাপাসিয়াতে ১ শত ও ২য় পর্যায়ে ১২টি সহ মোট ১শ ১২টি পরিবারের জন্য ১শ ১২টি সেমি পাকা বাড়ি ও ২ শতাংশ করে ২শ ২৪ শতাংশ জমি, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে। এখানে না আসলে বুঝা যাবে না যে সরকার ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কি করছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর, এখানকার সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সার্বিক পরিবেশ দেখলে মনে হয় ইউরোপ, আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের কোন এক মহল্লা বা এলাকা। এছাড়া প্রত্যেকটি প্রকল্পের বাসিন্দাদের জন্য সমবায় সমিতির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের সাবলম্বি করে তোলা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রশিক্ষণ শেষে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা রয়েছে।
আজ বুধবার (২২-৩-২৩) ইং তারিখ সকাল ৯ ঘটিকায় জেলার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ৩য় পর্যায়ে ২শ ৬টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য ৪শ ১২ শতাংশ জমি ও ২শ ৬টি সেমি পাকা বাড়ি হস্তান্তরের মাধ্যমে কাপাসিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই উপজেলা আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।এলাকার সুবিধাভোগী জহিরুল ইসলাম বলেন, তাদের কোন জায়গা জমি ও ঘর ছিল না, মানুষের বাড়ি ও ফুটপাতই ছিল একমাত্র অবলম্বন। আর বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের এই বাড়িতে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে খুব ভালো ভাবে জীবন যাপন করছি। এখানে সন্তানদের স্কুল ও মাদ্রাসায় লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ব্যবস্থা রয়েছে।