কাপাসিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে ভাতিজা ও নাতির মারপিটে কৃষক মফিজ উদ্দীনের মৃত্যু । জাহাঙ্গীর আলম (কাপাসিয়া প্রতিনিধি), গাজীপুর!! জমি সংক্রান্ত বিরোধে কৃষক মফিজ উদ্দীনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাই-ভাতিজা ও নাতির বিরুদ্ধে। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মফিজ উদ্দিন ( ৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় এই ঘটনা ঘটে। মফিজ উদ্দিন সুলতানপুর গ্রামের আমসর উদ্দীনের ছেলে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, নবী হোসেন (৫০), নূর হোসেন(৩২), মোঃ মকবুল হোসেন (২২) ও মাসুদা খাতুন (২৫), তমিজ উদ্দীন (৪৫)। তারা সবাই মফিজ উদ্দিনের বংশের ভাই, ভাতিজা ও নাতি এবং একই এলাকার বাসিন্দা। নিহতের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মকবুল ও নবী হোসেনের সঙ্গে তার বাবা ও তাঁর বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে সেই রাতে তার বাবা মফিজ উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রীর সংসারের বড় ছেলে মোঃ মাসুদ রানার বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকেন। পরদিন বুধবার সকালে মাসুদ রানা সহ তিনি তার বাবার সঙ্গে টোক বাজারে নাস্তা করতে যান। হোটেল থেকে বের হয়ে কানার মোড় নামক জায়গায় পৌঁছালে সেখানে তাদের উপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এ সময় তাঁদের ব্যাপক মারধর করা হয় এবং পুরুষাঙ্গে আঘাত করা হয়। এতে তার বাবা আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আহত অবস্থায় তার বাবাকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান। কানার মোড় এলাকার বাসিন্দা মির্জা আলী জানান, চিৎকার শুনে তিনি বাড়ির বাইরে এসে দেখতে পান মফিজ উদ্দিনকে চারজন মিলে পেছন দিক থেকে তারা করছে। মফিজ উদ্দীনকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে বলে বলছিলো মফিজ উদ্দীন। বুধবার অভিযুক্ত মকবুল ও অন্যান্যদের বাড়িতে গেলে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। সবগুলো ঘরে তালা দেওয়া। আশপাশের লোকজন জানিয়েছেন ঘটনার পর থেকে তারা বাড়িতে নেই। কোথায় গেছে তারা জানেন না। অভিযুক্তদের একজন মোঃ মকবুলের মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি তার মোবাইল রিসিভ করেননি। নিহতের মেয়ে রবিজা দেশবাংলাকে জানায়, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে তার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে অভিযুক্তরা। তারা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাসির দাবি জানিয়েছেন। বসতবাড়ীর দুই গন্ডা জমি নিয়ে তিন বছরের বেশী সময় ধরে বিরোধ চলছিলো, আদালতে ৪টি মামলা চলমান রয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বুধবার সকালে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে চাচা, চাচী, ছেলে,মেয়ে, ও নাতী পক্ষের লোকজন হুমকি দেয়। পরে বাবা মফিজ উদ্দীন তাদের ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। কিন্ত তাদের হাত থেকে শেষ রক্ষা পেলোনা বাবা মফিজ উদ্দীন। টোকের কানার মোড় নামক এলাকায় অতর্কিত হামলা করে এতে দেশীয় ধারালো অস্র, লোহার রড, ছুরি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে বাবা মফিজ উদ্দীনকে মেড়ে ফেলেছে খুনিরা এভাবেই কথা গুলো বলছিনে নিহতের প্রথম সংসারের মেয়ে রবিজা। টোক পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, এঘটনায় তদন্ত চলমান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম নাসিম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।