বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করতে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের নিবন্ধিত ‘জয় বাংলা’ পত্রিকা সম্পাদনা করে মুক্তিযোদ্ধাদের খবর সর্বত্র প্রচার এবং বাঙালিদের উপর পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের সংবাদ পরিবেশন করে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ ও শক্তি যুগিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ বিষয়ক প্রবন্ধ লেখে ও সমসাময়িক কলাম লেখে তিনি বাঙালিদের হৃদয়ে-অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি মানবিক গুণাবলিতে উজ্জীবিত একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এই কালজয়ী একুশের গানের মাধ্যমে তিনি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতি অর্জন করেছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির এই মহত্তম অর্জনের পেছনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি বহুল প্রচারিত জনপ্রিয় সংবাদপত্রে কলাম লেখা ছাড়াও বাংলা সাহিত্যের সকল ক্ষেত্রে তিনি লেখেছেন। তিনি একজন ভালমানের সাহিত্যিক ছিলেন। তার প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত লেখাসমূহ গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করে সর্বস্তরে প্রচার করতে হবে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর রচনাবলি পাঠ ও চর্চার বিষয়ে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে।
কালজয়ী একুশে গানের রচয়িতা, কলাম লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা সদ্য প্রয়াত আব্দুল গাফফার চৌধুরীর স্মরণে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের উদ্যোগে ৩০ মে সোমবার বিকেলে ঢাকার তোপখানা রোডস্থ ক্যাফে ঝিল হোটেলে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত ইতিহাসবিদ সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী, তৃণমূল বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্কাছ আলী খান, বাংলাদেশ ন্যাপের সহ সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সাবেক ডেপুটি এটনী জেনারেল বাংলাদেশ এ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ, সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল হক চাষী, বাংলাদেশ উন্নয়ন পার্টির সভাপতি সৈয়দ মোখলেসুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপকমিটির দপ্তর বিষয়ক সদস্য খন্দকার তারেক রায়হান, নাগরিক ফোরামের সভাপতি শহীদুন্নবী ডাবলু, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের রোকন উদ্দিন পাঠান, বাংলাদেশ আওয়ামী সমবায় লীগের আমিনুর রহমান সগীর, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, কবি মির্জা সেলি, সাংবাদিক মিজান শাহজাহান ও মিসেস বানী, নারী নেত্রী এলিজা রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক সমির রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন বরিশাল বিভাগ সমিতির সহ সভাপতি আব্দুল আলিম খান।