রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে হকার পুনর্বাসনের জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন, অবৈধ চাঁদাবাজী ও হয়রানী-নির্যাতন বন্ধ। হকারদের পুনর্বাসন ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাজেটে বরাদ্দের দাবি
আজ ২৬ মে বাংলাদেশ হকার সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হকার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জুয়েল, প্রচার সম্পাদক এম এ খায়ের, কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুর রহমান বাবুল, ভ্রম্যমান হকার্স পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ তালুকদার প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছি, রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করে হকার পুনর্বাসন করার। কিন্তু আমাদের দাবি সরকার ও সিটি কর্পোরেশন আমলে না নিয়ে বরং বিভিন্ন সময়ে হকার উচ্ছেদ, মালামাল জব্দ, মামলা, হামলা, অবৈধ চাঁদাবাজি, হয়রানী-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। বিগত ২ বছর করোনা মহামারীর মধ্যে হকাররা পুঁজি হারিয়ে সর্বহারা হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চড়া সুধে ঋণ নিয়ে ফুটপাতে দোকান বসিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করলেও এসময়েও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ হকারদের মালামাল নষ্ট ও জব্দ, নিলামে বিক্রি, হয়রানী-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। এটা হকারদের মানবাধিকারে চরম লঙ্ঘন। সরকার ও সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব হচ্ছে দুষ্টের দমন, সৃষ্টের লালন করা। কিন্তু সরকার ও সিটি কর্পোরেশন তার উল্টো কাজটি করছেন। হকাররা সামান্য পুঁজি নিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এতে করে বেকারত্ব ও দারিদ্র দূর হচ্ছে এবং অর্থনীতির সেবা করছেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পাশ্ববর্তী দেশ ভারত সরকার হকার পুনর্বাসনের জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করে তাদেরকে সুন্দর অর্থনৈতিক জীবন দান করেছেন। অথচ আমাদের সরকার এই আত্মকর্মসংস্থান জনগোষ্ঠীকে লালন-পালন না করে তাদেরকে উচ্ছেদের মাধ্যমে যে নৈরাজ্য পরিস্থিতি তৈরী করছে।
সরকার ফুটপাত দখলমুক্ত করার নামে হকারদের উপরে যে স্টীম রোলার চালাচ্ছেন তা কেবলমাত্র মানবাধিকার লঙ্ঘনেই নয়, সংবিধান পরিপন্থি কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিক হকার দিবসে এই হোক বাংলাদেশের হকারদের অঙ্গীকার।
#