দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এমপি বলেছেন, মুজিবনগর দিবসের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করা প্রয়োজন। এই দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করা হলে শিশুরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।
সোমবার ১৮ এপ্রিল, মুজিবনগর দিবস /২২ উপলক্ষে দৈনিক জাগো জনতা পত্রিকার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলনাা আকরম খাঁ মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ডাঃমোঃ এনামুর রহমান এমপি, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ইতিহাস হচ্ছে মুজিবনগর দিবসে বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রী পরিষদের শপথ গ্রহণ। এই শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিচিতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরে।এই দিবসটি মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা ও শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। তিনি সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর দিবস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমন্ডিত। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর ৩ সপ্তাহ পর মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রীপরিষদ শপথ গ্রহণ করে। রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস। বাংলাদেশকে পাক হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত করতে মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। এই সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্যদিয়ে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি মুজিবনগর দিবসের ইতিহাস ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠাপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।
দৈনিক জাগো জনতা পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোঃ রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজি মজিবর রহমান, সৈয়াদুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি এড. মোঃ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, দৈনিক জাগো জনতার নির্বাহী সম্পাদক মোঃ মারুফ আহমেদ প্রমুখ।