বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতিবাচক ও অপরাজনীতির কারণে দেশের চলমান উন্নয়ন ধারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু তাই নয়,ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিকাশধারা।
বুধবার (৩ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির নবনির্বাচিত সদস্যদের পরিচিতি ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জন্মলগ্ন থেকে বিএনপি গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে গণতন্ত্র হত্যা,মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘তারা এখনও সেই ধারাবাহিকতাই চর্চা করে চলেছে।’ স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে সখ্যতা রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের সঙ্গে রসিকতা আর তামাশা ছাড়া কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জনগণ আশা করেছিল নির্বাচন ও আন্দোলনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে তোষণ ও পোষণ ত্যাগ করবে,কিন্তু তারা তা না করে উল্টো গাঁটছড়া বেঁধে আছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলন এবং নির্বাচনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর বিএনপি এখন পুলিশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। বিএনপির আন্দোলন,সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন মানেই হচ্ছে সহিংসতা আর সন্ত্রাস। জনগণ তাদের কর্মসূচিতে এখন ভীত সন্ত্রস্ত।’ বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করলে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরাও বাস পোড়ানোর ভয়ে বন্ধ করে দেয়, অথচ বিএনপি দায় চাপায় সরকারের ওপর বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘উপকমিটিতে নাম লিখিয়ে কেউ চাঁদাবাজি অথবা ক্ষমতার দাপট দেখালে সঙ্গে সঙ্গে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে, তা সত্য নয়।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখনও পর্যন্ত এধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমনকি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী কোনও সভায়ও এধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
বিএনপি ইউপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দেওয়ার পরও স্থানীয়ভাবে তাদের দল সমর্থিত প্রার্থীদের প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে বলে জানান কাদের।
এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘দেশের জনগণই বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বানিয়েছেন। আর শেখ হাসিনাকে করেছেন বিশ্বের সেরা তিন জনের একজন সেরা রাষ্ট্রপ্রধান।’
২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী,স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপাসহ উপকমিটির সদস্যরা।
এর আগে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির নবনির্বাচিত সদস্যরা।