জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়কার অভিশাপ সেশনজট এখন আর নেই। ইমেজ সংকটও নেই। কিছুদিন পূর্বেও এটিকে শিক্ষাবোর্ড হিসেবে দেখা হতো।
‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ম-নীতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে এসে ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’ এ নীতি অনুসরণ এবং নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ‘শিক্ষা বোর্ডের’ ইমেজ থেকে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়কে একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সমর্থ হয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (০১ মার্চ) দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে উপাচার্য হিসেবে দুই মেয়াদ পূর্তি উপলক্ষ্যে এক প্রেসব্রিফিংএ তিনি এসব কথা বলেন। তিনি গত ৮ বছরে বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-, সাফল্য ও অগ্রগতি সাংবাদিকদের সামনে সবিস্তার তুলে ধরেন।
সকল ধরনের সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়কে নতুন আঙ্গিকে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আজ একটি আইটিভিত্তিক বিশ^বিদ্যালয়। শতকরা ৯৫ ভাগ কর্মকা- অন-লাইনের মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়ে থাকে। একইসঙ্গে প্রশাসন ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি এক একর ভূমির ওপর ৩টি নিজস্ব স্থায়ী আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। সারাদেশে অঞ্চলভিত্তিক আরো ৬টি স্থায়ী আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ক্যাম্পাসে পূর্বে কারো জন্য কোনো আবাসনের ব্যবস্থা ছিল না। এখন ১০ তলা ভিত্তি দিয়ে ৬ তলা বিশিষ্ট দুইটি ভবন (একটি কর্মকর্তা ও একটি জরুরি সার্ভিসে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য)সহ ৫টি ভবন নির্মিত হচ্ছে। প্রথম দুটি ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ ছাড়াও নতুন-নতুন একাডেমিক কোর্স প্রবর্তন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কলেজসমূহ প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী ও টেকনিক্যাল বিষয়ে শর্টকোর্স বা ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম চালুর কথা আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।
প্রেস ব্রিফিংএ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিন, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক ফয়জুল করিমসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। কত