আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম কার্যালয়ে যাননি। তিনি বর্তমানে গাজীপুর মহানগরীর ছয়দানা এলাকায় তার নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তার গ্রেফতারের খবরটি মিথ্যা বলে সময়ের দেশকে নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড সচিব কল্যান পরিষদের সভাপতি মেয়রের মুখপাত্র আনোয়ারুল করিম জুয়েল।
মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আজ রোববার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাইলে ফাঁসির দড়ি গলায় দিব। গ্রেফতার করতে হলে নিজেই আত্মসমর্পণ করবো।’
এদিকে শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে বাসা থেকে সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিলো।
কিন্তু দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে নিচ তলায় নামেন। তখন উপস্থিত সাধারণ জনগণ ও নেতা-কর্মীদের কান্না দেখে ভেঙে পড়েন তিনি। মেয়রও কান্না করেন। তার কান্না দেখে উপস্থিত লোকজন উচ্চস্বরে কান্না শুরু করেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগ ওঠায় গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে, গত ৩ অক্টোবর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে দলের ‘স্বার্থ পরিপন্থী’ কর্মকাণ্ড ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে এ শোকজ করা হয়।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। যা গোপনে রেকর্ড করে একজন অনলাইনে প্রকাশ করে। সেই অডিও ভাইরাল হয়। এরপর মেয়র জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ হয় গাজীপুরে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে একটি এডিটেড ভিডিও বের করেছে। পরে এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এমনকি এটি কিছু সংবাদ মাধ্যমও প্রকাশও করেছে।
সে সময় তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ একটি শোকজ দিয়ে আমার কাছে ঘটনা জানতে চেয়েছে। আমি যথা সময়ে এর জবাব দেব।