মাত্র ৪০ মিনিটে যাওয়া যাবে এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর। উভয় দিকে ঘণ্টায় পরিবহন করা হবে ৪০ হাজার যাত্রী। ফলে যানজট কমবে ঢাকার রাস্তায়ও। এমন সব সুবিধার কথা চিন্তা করে নির্মাণ হচ্ছে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৬৩.২৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর নাগাদ বাকি কাজ শেষ হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।
গত বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়। বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটিডের সম্মেলন কক্ষে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি জানান, সব শ্রেণির যাত্রীর কথা চিন্তা করে এই প্রকল্পে লিফট, এস্কেলেটর ও ভিআইপিদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকবে।২০.৫ কিলোমিটার দৈঘের্যর বিআরটি করিডোরে স্টেশন থাকবে ২৫টি। এতে একটি স্টেশন থেকে আরেকটির গড় দূরত্ব দাঁড়ায় ৮০০মিটার।
সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যে কোনো মানুষের পক্ষেই ৪০০ মিটার বা তার কম দূরত্ব থেকে পায়ে হেঁটেই স্টেশনে পৌঁছানো সম্ভব। এতে যানজট কমে যাবে বহুগুণ। কমবে সব ধরণের গাড়ি।থ
বর্তমান যানজটের অন্যতম কারণ প্রাইভেটকার উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে একটি প্রাইভেকারের বিপরীতে একটি বড় গাড়ি নামলে ৩৫শতাংশ বেশি সুবিধা হয়। তাই প্রাইভেটকার কমানোর লক্ষ্যে ভিভিআইপি যাত্রীদের জন্যও বিশেষ সুবিধা রাখা হবে এই মেগা প্রকল্পে।থ
বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় মূলত ২০১২ সালে। এরপর থেকেই ওই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি বাড়তে থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভোগান্তি হওয়ার মূল কারণ ছিল রাস্তা প্রসস্তকরণের কাজ। সেটি ৫০ শতাংশ হয়ে গেছে। বাকি ৫০ শতাংশ কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হয়ে যাবে। তখন আর কোনো ভোগান্তি থাকবে না। বরং সবাই বাড়তি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
প্রকল্পটি অনেক বড়, তাই সময় একটু বেশি লাগবেই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘এখনো সুযোগ আছে, প্রকল্পের স্বার্থে কোনো পরামর্শ থাকলে যে কেউ জানাতে পারেন; সেটি বিবেচনায় নেয়া হবে।থ
এ সময় সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম। বলেন, ‘সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ে যানজট ও জনভোগান্তি নিয়ে প্রতিবেদন করার কারণেই এমন বড় একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে সুবিধা পাবে সব শ্রেণির জনগণ।