খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জসিম উদ্দিন জনি (২১) নামে এক মদ্যপ ছেলের এলোপাতাড়ি দায়ের কোপের আঘাতে বাবার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টায় উপজেলার জামতলি বাঙ্গালী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর খুনি ছেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্রায় ৪ঘন্টা পর পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. মিন্টু আলী (৫০)। তিনি উপজেলার জামতলী বাঙালি পাড়ার মো. মোবারক মিয়ার ছেলে। নিহত মিন্টু আলীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, প্রায়ই নিহতের ছেলে জসিম উদ্দিন জনি (২১) নেশা করে বারিতে আসতেন এবং বাবা ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়া হতো। ঘটনার দিনও জনি মদ খেয়ে তার বাবার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে জনি দা দিয়ে তার বাবা মিন্টু আলীকে ঘাড়ে এবং বুকে কোপ দেয়। সেখানেই মিন্টু আলী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
নিহতের বড় মেয়ে মিনারা (২৭) বলেন, আমি বাবার পাশের ঘরে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাবার ঘরে চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। ঘরে গিয়ে দেখি বাবা মাটিতে পড়ে আছে। পুরো মেঝেতে রক্ত ছড়িয়ে আছে। পরে আমি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন আসে। এরপর আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।
নিহতের বাবা মোবারক মিয়া (৬৮) বলেন, আমার ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দীঘিনালা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
দীঘিনালা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. আবির বলেন, নিহতকে তাঁর বাবা মোবারক মিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে আসার আগেই মারা যান তিনি।
দীঘিনালা থানার উপপরিদর্শক শেখ মিল্টন রহমান বলেন, নিহতের হত্যাকারী ছেলে জসিম উদ্দিন জনি কে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। সে রাতে দূরে কোথাও পালিয়ে যাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে মধ্যবেতছড়ি নামক এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা তাকে আটক করেছি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।