আগামী বছরের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তি থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনেক আকাংখিত ‘পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ অন্যান্য মেগা প্রজেক্টের সাথে বিআরটিএ’র গাজীপুর প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
এসময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রতিঘন্টায় ২০ হাজার লোক যাতায়াত করতে পারবে।
শুক্রবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুর টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে প্রধান অতিথি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তির কারণ ড্রেনেজ সিস্টেম খারাপ। তবে এই প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই ৬৩ দশমিক ২৭ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচের ভোগান্তি এই বর্ষাকালেই হবে পরবর্তীতে আর হবে না।
মন্ত্রীর সঙ্গে পরিদর্শনকালে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সচিব আবু বকর সিদ্দিক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর, ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, বিআরটি প্রকল্পের এমডি মো. শফিকুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক মো. ইলিয়াস শাহ, গাজীপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশরী মো. সাইফউদ্দিনসহ সড়ক ও সেতু বিভাগ এবং বিআরটি প্রজেক্টের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেতু মন্রী এসময় নির্মাণ কাজের সাময়িক যন্ত্রণাকে মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্প চালু হলে দুই পাশে প্রতি ঘণ্টায় ২০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে। গাজীপুর থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩৫ মিনিট। বিআরটি প্রকল্প শেষ হলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তি থাকবে না। এই প্রকল্প ত্রুটিপূর্ণ কি না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এডিবি বারবার এই প্রজেক্ট পরিদর্শন করেছে। ডিজাইনের কোনো ত্রুটি থাকলে এডিবি অর্থায়ন করত না। কাজটা শেষ হয়ে গেলে সকল প্রশ্নের অবসান হবে।