আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কক্সবাজারে খামারীরা। দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে গরুগুলো কোরবানির উপযুক্ত করে তুলছেন। অতি যত্নে পালন করা এসব গরুর পেছনে খামারিদের শ্রম ও অর্থ দুটোই ব্যয় হয় বেশ। তাই, আশায় থাকে কোরবানি ঈদে বাজারে বিক্রি করে লাভের মুখ দেখবেন বলে।
কৃত্রিম উপায়ে নয় বরং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার ব্যবহার করে গরু মোটাতাজা করছেন খামারীরা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। ধানের বিচালী, কাঁচা ঘাস, খৈল, গমের ভূষি, চালের কুঁড়াসহ প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি কিছু খামার উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার সাইলেস খাইয়ে গরু মোাটাতাজা করছেন।
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা আর .সি.সি এগ্রো ফার্মের মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, অসৎ উপায়ে যারা গরু মোটাতাজা করছেন সেসব কতিপয় অসাধু খামারীর কারণে যাতে প্রকৃত খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে নজর রাখার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারও গরুর হাটে ক্রেতারা আগ্রহী কেমন হবে এটাই দেখার বিষয়। গত বছর গরু পালন করে হাটে তুলানামূলক ক্রেতা কম থাকায় অনলাইনে প্রচারনা করে খামার থেকেই গরু গুলো বিক্রির চিন্তা ভাবনা করেছে অনেকে। বিভিন্ন খামার অনলাইনে প্রচারনা চালাচ্ছে।
প্রতিবছর ঈদে দেশীয় গরু চাহিদা ভালো থাকায় কক্সবাজার বিভিন্ন উপজেলায় খামারে লালন পালন করা হচ্ছে অনেক প্রজাতির গরু। এই বছর জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার। প্রতি বছর এসব গরু নিজ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলাগুলোর হাটে বিক্রি করা হয়।
বিগত কয়েকবছর ধরে কক্সবাজার বিভিন্ন খামারে দেশি জাতের প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা এসব গরুর কোরবানির বাজারে আলাদা কদর তৈরি হয়েছে।
কক্সবাজার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা:অসীম বরণ সেন জানান, এবার জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ৭ হাজার খামারে কোরবানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১লক্ষ ৭৩ হাজার ৫ ২৯টি।
তিনি আরোও জানান, খামারীদের প্রশিক্ষণ মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে মোটাতাজা করণ দেওয়া হচ্ছে। গরুর হাটে যেন কোন প্রকার অসুস্থ পশু না উঠে এবং ঔষুধ খাইয়ে গরু মোটাতাজা না করে নিরোৎসাহিত করা হচ্ছে।