চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে আজ রবিবার ১১ জুলাই ভোরের ফাইনালে নেইমারদের ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। ম্যাচে আর্জেন্টিনার পক্ষে গোল করেছেন ডি মারিয়া।
কোপা আমেরিকায় এটি আর্জেন্টিনার ১৫ তম শিরোপা। শিরোপাসংখ্যায় এখন যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। এই জয়ের মধ্যদিয়ে লিওনেল মেসির শিরোপা-খড়ার অবসান হলো। ক্লাব পর্যায়ের সব কিছু জেতা মেসি এবার ট্রফি জিতলেন নিজ দেশ আর্জেন্টিনার হয়েও।
১৪ বছর পর কোনো বড় আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। ২০০৭ সালের কোপার সেই ফাইনালে অবশ্য ব্রাজিল জিতেছিল ৩-০ গোলে। এবার প্রতিশোধ নিল মেসিরা।
কোপা আমেরিকার বহুল কাঙ্ক্ষিত ফাইনাল ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে ফুটবলের দুই পরাশক্তি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। আর প্রথম একাদশে চমক হিসেবে নামা পিএসজি ফরোয়ার্ড আনহোল ডি মারিয়ার দুর্দান্ত এক গোলে ব্রাজিলকে হারালো আর্জেন্টিনা।
সেলেকাওদের ১-০ তে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুলল আলবিসেলেস্তেরা। দেশের হয়ে শিরোনা পা পাওয়ার খরা মিলট লিওনেল মেসির।
আগের কয়েক ম্যাচে বদলি নেমে দুর্দান্ত খেলা আনহেল ডি মারিয়াকে আজ প্রথম একাদশে সুযোগ দেন কোচ স্কালোনি। আর সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চিনিয়ে দেন ডি মারিয়া। তার গোলেই ব্রাজিলের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার ফাইনালে লিড নিয়েছে আর্জেন্টিনা।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই আর্জেন্টিনার জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছে সেলেকাওরা। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে গেছে সেই গোল। ফলে ম্যাচের ৫৩ মিনিট শেষেও ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে আর্জেন্টিনা।
স্বস্তির নিঃশ্বাস বয়ে যায় আর্জেন্টাইন শিবিরে।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই একের পর এক জোরাল আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। ৫২ মিনিটে সফলও হয়। ডি-বক্সের মধ্য থেকে আলবিসেলেস্তেদের জালে বল জড়িয়ে দেন রিচার্লিসন। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে তিনি অফসাইডে থাকায় বাতিল করে দেন রেফারি উরুগুয়ান রেফারি এস্তাদিয়চ।
ম্যাচের শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেছেন ব্রাজিলের ফ্রেড। ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় মন্তিয়েলকে ফাউল করার জন্য রেফারি কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন তাকে।
১০ মিনিটের মধ্যে বেশ কয়েকটা কড়া ট্যাকল চোখে পড়ে। উভয় দলই একে অপরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ।
১৩ মিনিটের মাথায় বক্সে নেইমারের দিকে বল বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন রিচার্লিসন। তবে বাধা দেন ওতামেন্দি।
২২ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক গোলে আর্জেন্টিনাকে ১-০ এগিয়ে নেন ডি মারিয়া। ফাইনালের প্রথম একাদশে ডি মারিয়াকে ফিরিয়ে তার উপর আস্থা রেখেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ। আস্থার যথাযথ মর্যাদা রাখেন তিনি।