ক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় চলছে কঠোর লকডাউন। আজ বৃহস্পতিবার ১ জুলাই সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পরার মত। সরকারি ও বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ও পণ্যবাহী বাহন ছাড়া কিছু অটোরিকশা-ভ্যান চলতে দেখা গেছে বিভিন্ন রাস্তায়। কিছু কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেলেও সংখ্যায় তা একেবারেই কম।
পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে তল্লাসি চালাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। মানুষ যেন অকারণে বাইরে অবাধ চলাচল না করে সেজন্য সকলকে মাইকিং করে নিষেধ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলা / পৌর শহর সহ গ্রামের হাট-বাজার গুলোতে সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে পৌর শহর শপিংমল, বিপনী বিতান গুলোও বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে অনেকে বাইরে বের হয়েছেন। এছাড়া মানুষের প্রয়োজনের তাগিদে রিক্স্যা-ভ্যান ও মোটরবাইক চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও রিক্স্যা-ভ্যানে যাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। সড়ক-মহাসড়কে পন্যবাহী ট্রাক, ঔষুধ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত গাড়ি, ইজিবাইক, ব্যাটারী চালিত রিক্সা-ভ্যান ছাড়া কোন অন্য কোন পরিবহন চোখে পরেনি। ফলমুল সহ নিত্যপন্যের দোকানপাট খোলা থাকলেও ক্রেতার অভাবে অলস সময় পার করেছেন দোকানদারেরা।
এদিকে লকডাউনে বাইরে বের হতে না পেরে আয় বন্ধ হওয়ায় দূর্ভোগে পরেছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা। কঠোর লকডাউন চলায় মানুষজন বাইরে বের না হওয়ায় যাত্রীর অভাবে খালি ভ্যান নিয়ে বসে আছেন অনেক রিক্সা-ভ্যান চালক।
এছাড়াও রাস্তায় রাস্তায় সেনা বাহিনী, র্যাব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটথর গাড়ি টহল দিতে দেখা যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসনের শক্ত অবস্থানে থাকার কারণে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। বৃষ্টির মধ্যেও মাঠে লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সংশিষ্ট আইন শৃংখলা বাহিনী। চলমান কঠোর লকডাউন চলবে আগামী ৭ জুলাই মধ্য রাত পর্যন্ত।