টঙ্গী প্রতিনিধি:
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় জোরপূর্বক সুয়ারেজ লাইন নেয়ার নামে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লাইন নেয়া বাধা দেওয়ায় হামলায় ঘটনায় ১ জন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় জমির মালিক মো: মতিন মোল্লা (৫৬) টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদী সাত্তার মোল্লা (৬০), রনি (২৮), রবিউল (৪৫), নাজমুল মোল্লা (২৫) সহ অজ্ঞানামা আরো ৫/৭জন। সর্ব সাং-দত্তপাড়া, থানা-টঙ্গী পূর্ব, গাজীপুর গংরা এলাকায় বেপরোয়া এবং খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকায় দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও মতবিরোধ লাগিয়ে নিজেরা ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করেন। সেই সূত্র ধরে বিবাদীরা আমার বাড়ীর সামনের জমির আংশিক দখল করিয়া তাহাদের বাড়ীর সুয়ারেজ লাইন নেয়ার চেষ্টা করিতেছে। এতে আমি বাধা দিলে উক্ত বিবাদীরা আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি এবং হুমকি প্রদান করে। এ বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসীকে এর আগেও কয়েকবার জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে উক্ত বিবাদীরা যোগসাজশে এবং অজ্ঞাতনামা লোকজন নিয়ে আমার জায়গায় এসে জোর পূর্বক কাজ করার চেষ্টা করে। এ সময় আমি এবং আমার ছেলে তাদের বাধা দিলে তারা অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা করে। এ সময় তারা আমাদের এলোপাথারি মারধর করিয়া আহত করে এবং আমার ছেলে মো: ইমরান মোল্লার শরীরের একাধিস্থানে নীলাফুলা জখম করে। পরে আমার ডাক-চিতকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে চাইলে বিবাদীদের ভয়ে কেউ আসতে সাহস পায়নি। এ সময় তারা আমাদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। পরে আমার ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিতসার জন্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। বর্তমানে আমি আমার পরিবারের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবন নিয়ে শঙ্কিত। তারা যে কোন সময় আমার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই হামলার বিচার চাই।

ভুক্তভোগী মতিন মোল্লা বলেন, এই এলাকার নেতা সাত্তার মোল্লা তার পেশি শক্তি ও লোকজন দিয়ে বিভিন্ন এলাকার বাড়িওয়ালার কাছ থেকে সুয়ারেজ লাইন করার কথা বলে ২৫-৩০ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে। কিন্তু আমার সাথে কোন আলোচনা বা ক্ষতিপূরণ না দিয়েই জোরপূর্বক ভাবে দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে সাত্তার মোল্লার যোগসাজশে এবং অজ্ঞাতনামা লোকজন নিয়ে আমার জায়গায় এসে কাজ করার চেষ্টা করে। এ সময় আমি এবং আমার ছেলে তাদের বাধা দিলে তারা অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা করে। এ সময় তারা আমাদের এলোপাথারি মারধর করিয়া আহত করে এবং আমার ছেলে মো: ইমরান মোল্লার শরীরের একাধিস্থানে নীলাফুলা জখম করে। পরে আমার ডাক-চিতকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে চাইলেও এই সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ আসতে সাহস পায়নি। তারা আমাদের জমির উপর দিয়ে জোরপূর্ব ড্রেনের কাজ করবে এতে যদি কেউ বাধা দেয় তাহলে পুরো জমি দখল করে নিবে এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। পরে আমার ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। বর্তমানে আমি আমার পরিবারের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবন নিয়ে শঙ্কিত। এই সন্ত্রাসী বাহিনী যে কোন সময় আমার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।