আজ ৬ জুন রবিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) সদর থানা পুলিশ অপহরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৫ বছরের শিশু সহ মূল আসামী এবং সহযোগী আসামী গ্রেফতার করেছে।
গত ৪ জূন শিশু রুবায়েত (০৫), পিতা-রুবেল মিয়া, সাং-লক্ষীপুরা, ওয়ার্ড নং-২৭, থানা-সদর, গাজীপুর মহানগর, গাজীপুর এর বাসায় তার ফুপি আখি (০৮) এর সাথে খেলাধূলাও করাকালিন অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় বাদির পূর্ব পরিচিত এবং তার বাড়ির সাবেক ভারাটিয়া বিবাদী বৃষ্টি আক্তার ভিকটিমের বাড়িতে আসে এবং বাদির স্ত্রীর সাথে গল্পগুজব করে। এক পর্যায়ে উক্ত বিবাদী বাদীর নাতী রুবায়েত ও আখিকে মজা কিনে দেওয়ার কথা বলে বাদির বাসা থেকে সকাল অনুমান ১১.১০ ঘটিকার সময় জিএমপি, সদর থানাধীন তিন সড়কে নিয়ে যায়। তিন সড়ক থেকে বিবাদী বৃষ্টি আক্তার রোকছানা আইসক্রীম কিনে আখির মাধ্যমে তিনটি আইসক্রীম বাদীর বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে কৌশলে বাদির নাতী রুবায়েতকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জিএমপি, সদর থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) হয়েছে।
মামলা রুজু হওয়ার পর পরই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সদর থানা পুলিশের পৃথক কয়েকটি টিম পঞ্চগড় জেলা ,উত্তরা, ঢাকা এবং টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মূল আসামী ১। মোসাঃ রোকছানা আক্তার ওরফে নাসরিন ওরফে বৃষ্টি (৩৫), স্বামী-মোঃ আনিছুর রহমান, তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ২। মোঃ আনিছুর রহমান (৩৮), পিতা-মৃত কাশেম, উভয় সাং-পাঁচপীর, থানা-ভোদা, জেলা-পঞ্চগড়, এ/পি সাং-মুদাফা পূর্ব পাড়া (খোরশেদ এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-টঙ্গী পশ্চিম, গাজীপুর মহানগর, গাজীপুর, ৩। মোঃ বেলায়েত হোসেন মন্নু (৫৮), পিতা-মৃত আমজাদ হোসেন, সাং-ঘাটাইল উত্তর থানা-ঘাটাইল, জেলা-টাঙ্গাইলদের গ্রেফতারপূর্বক ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
প্রথমে টঙ্গী পশ্চিম থানা হতে ০২ নং আসামী মোঃ আনিছুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য মতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ইং-০৫/০৬/২০২১ তারিখ রাতে ৩নং আসামীর ঠিকানা টাঙ্গাইল জেলাধীন ঘাটাইল থানা হতে উক্ত আসামীসহ মূল আসামী মোসাঃ রোকছানা আক্তার ওরফে নাসরিন ওরফে বৃষ্টিকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজত অত্র মামলার অপহৃত ভিকটিম রুবায়েতকে উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য যে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সকল আসামী ঘটনার সহিত সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ১নং আসামী একেক সময় একেক নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে আসছিল ।