ইসমাঈল হোসাইন :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঢাকা ১৮ আসনের এমপি পদপ্রার্থী, কল্যান পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দয়াল কুমার বড়ুয়ার কুড়া তলীতে নেতা কর্মীদেরকে নিয়ে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন এর ব্যপকভাবে আনুষ্ঠানিকতা আয়োজনের বিধি নিষেধ থাকায় উঠান বৈঠক এর আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্টানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দয়াল কুমার বড়ুয়া। সভাপতিত্ব করেন মো: আশারাফুল ইসলাম।
বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও নিজ দলের চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য শুরু করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা ১৮ আসনকে বলা হয় ঢাকার সবচেয়ে বড় আসন। ঢাকার ১৮ আসনকে মডেল সিটি বলা হয় । কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই আসনের উত্তরখান, দক্ষিণখানের, তুরাগ, ডুমনি, নামা পাড়া,এতগুলো যায়গা অবহেলিত। মানুষের চলাচলের রাস্তার বেহাল দশা দেখে সত্যিই দুঃখ লাগে। আমরা যে দায়িত্ব নিয়ে, কমিটমেন্ট নিয়ে, সংসদীয় আসনে যাই নির্বাচিত হয়ে মানুষের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য উন্নয়ন এর জন্য। কিন্তু আমরা মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন না করে নিজেদের উন্নয়নে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আমরা আল্লাহর কাছে কমিটমেন্ট হয়ে করেছিলাম। আমরা মানুষের সেবা করব, মানুষের উন্নয়নে কাজ করব, কিন্তু আমরা মানুষের কাজ না করে নিজেদের একটা বিল্ডিং থেকে পাঁচটা বিল্ডিং করি। আমরা কাকে বানাই যারা আমাদের আইন প্রনয়ণ করবে ভাগ্য নির্ধারণ করবে। এই মানুষগুলো যদি সঠিক মানুষ না হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের ঢাকা ১৮ আসনের ভাগ্যের উন্নয়ন কখনই হবে না। আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসি নাই আমি একটি দাবি নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। একটি ভালো মানুষকে নির্বাচিত করবেন। যারা আপনার-আমার কথা বলবে ঢাকা ১৮ আসনে আমাদের উন্নয়নের কাজ করবে। আমার আপনার ভাগ্য উন্নয়নের জন্য সংসদে গিয়ে কথা বলবে। কথা বলার যোগ্যতা রাখবে। আমাদের এই ঢাকা ১৮ আসনের এই যে মেগা প্রজেক্ট কিভাবে আনতে হয়, জাইকার ফান্ড কিভাবে আনতে হয়, এক্সিম ব্যাংকের ফান্ড কিভাবে আনতে হয়, চায়না থেকে ফান্ড কিভাবে আনতে হয়, আরো যে ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড আনতে হয় যাদের এই মেধা আছে তাদেরকে আমরা নির্বাচিত করতে হবে। আমাদের নেতার প্রয়োজন নাই, আমাদের প্রয়োজন একজন সেবকের, একজন ভাইয়ের, একজন ফ্যামিলি মেম্বার। যাকে আমরা সব সময় সুখে-দুখে কাছে পাবো। এই মেসেজগুলো দেয়ার জন্য। আমরা পার্লামেন্টে ৩০০ লোক পাঠাই যারা আমাদের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য আইন প্রণয়নের জন্য কাজ করবে সেই স্বপ্ন তারা আমাদেরকে দেখায়। ৫বছর পর পর এই সুযোগ আসে। আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর যে কমিটমেন্ট দিয়েছেন এবার একটি ফ্রি-ফেয়ার ইলেকশন করবেন এবং জনগণ যোগ্যদেরকে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করবেন। সো ভোট একটি পবিত্র আমানত আপনারা যাকে দিবেন যোগ্য লোক দেখে ভোট দিবেন এটাই অনুরোধ।