কালিমুল্লাহ ইকবাল, টঙ্গী থেকে:
নৌকার সমর্থনে উন্নয়নের বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন- ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। গাজীপুরের প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ও গাজীপুর-২ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে নিউ মেঘনা টেক্সটাইল মিলস্ লিঃ এর উদ্দ্যোগে আহসান উল্লাহ মাস্টারের জীবন শীর্ষক আলোচনা দোয়া ও তবারক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
রবিবার (১২ নভেম্বর)সকালে নিউ মেঘনা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড এর অভ্যন্তরে অফিস প্রাঙ্গনে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জাহিদ আল মামুনের সভাপতিত্বে ও মহিলা কাউন্সিলর হোসনে আরা ছিদ্দিকী জুলির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান আহসান রাসেল,প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ মোঃ মশিউর রহমান, এতে আরো বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিন,অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম,মতিউর রহমান মতি, ওয়াদুদুর রাহমান, ওসমান আলী প্রমুখ সহ নিউ মেঘনা টেক্সটাইলের শেয়ার সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন, উন্নয়নের অব্যাহত ধারা রাখতে তিনি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বলেন। তিনি বলেন,আমার বাবা দেশমাতৃকার রক্ষায় যুদ্ধ করেছেন,স্বাধীনতার পরে বিলাসী কোন চাকরি না করে শিক্ষকতার মতো মহান পেশা দায়িত্ব পালন করেছেন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমৃত্যু কাজ করেছেন।আমিও বাবার মত সেবক হয়ে আপনাদের পাশে থাকতে চাই।
প্রধান আলোচক আহসান উল্লাহ মাস্টার এর বর্ণঢ্য জীবন তুলে পরিশেষে বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আগামীর পথ চলায় দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে পবিত্র আমানত হিসেবে সুরক্ষায় আমাদের দায়িত্ব,ঠিক তেমনি ভাবে আহসান উল্লাহ মাস্টার এর সন্তানকে দেখ ভালো করা আপনাদের দায়িত্ব।
উল্লেখ্য, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর গাজীপুরের হায়দরাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার ৩ দিন আগে নিজ গ্রামের বাড়িতে পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তিনি নোয়াগাঁও হাইস্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষের সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি দুইবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, একবার উপজেলা চেয়ারম্যান এবং দুইবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরী সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন তিনি।