বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
আধুনিক সেবা দান ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এখন নিজস্ব ভবনে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সংলগ্ন মহানগরের জয়দেবপুর চান্দনা চৌরাস্তার পূর্বে নলজানিতে এর কার্যক্রম পুরোদমে চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাসপোর্ট করতে আসার সেবা গ্রহীতাদের ভীড় তবে শৃঙ্খলা রয়েছে। সুশৃংখলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে সেবা গ্রহণের ব্যাপারে কারো কোন অভিযোগ বা আক্ষেপ নেই। দালালদের দৌরাত্ম চোখে পড়েনি। কোন দালালকেই গেটের ভিতর প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ডিউটিরত আনসারগণ। অফিসের ভেতরে ও বাহিরে নারী সেবা গ্রহীতাদের জন্য আলাদা লাইন এবং অসুস্থ, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা প্রদান সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে অনেকেই মনে করেন সিনিয়র সিটিজেন, অসুস্থ এবং প্রতিবন্ধীদের আলাদা বসার ব্যবস্থা করা গেলে খুবই ভালো হতো এবং ছবি তোলা ও ফিঙ্গারিং এর কক্ষে এবং ডেলিভারি কাউন্টারের সামনে পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো যেহেতু সেখানে অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। পাসপোর্ট করতে আসা হেদায়েত জানান কোন দালালের সাহায্য ছাড়াই শুধুমাত্র সরকারি ফি দিয়ে অনলাইনে আবেদন করে আমি সহ পরিবারের পাঁচজন পাসপোর্ট এর কার্যক্রম শেষ করি।
খুবই চটপটে ও আস্থার সাথে কাগজপত্র ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই, আবেদন কারীর ছবি তোলা ও আইরিশের ছবি গ্রহণ আঙ্গুলের ছাপ ও যথাযথ পাসপোর্ট এর ফি পরিশোধ হয়েছে কিনা এবং তালিকাভুক্তির পর সরবরাহ করা ডেলিভারি স্লিপ সংরক্ষণ ইত্যাদি কাজগুলো নিষ্ঠার সাথে করছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত অপারেটগন।
তবে সেবা গ্রহীতাদের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়, এর থেকে পরিত্রাণ এবং জনবল সংকটের বিষয়টি জানতে চাইলে গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর মোঃ আফজাল হোসেন জানান, আমাদের নতুন অফিসে আরো ১০ জন জনবল প্রয়োজন। খুবই দৃঢ়তার সাথে সেবা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং পুরাতন অফিসে ছোট ছোট দোকানে দালালদের যেই ভিড় এবং দৌরাত্ম ছিল এখানে সেটা থাকবে না বলে তিনি মনে করেন।
গেটের বাহিরে কথা হয় পাসপোর্ট অফিসের দালাল হিসেবে পরিচিত স্মরণের সাথে, কোনভাবেই সে অফিসে প্রবেশ করতে পারছিল না কারন আনসারগণ তাকে চেনে। পাসপোর্ট অফিসের কর্তা ব্যক্তিদের এই কড়াকড়ির ও সুশৃঙ্খলের বিষয়টি কতদিন বহাল থাকবে সেটাই দেখার বিষয় বলে মনে করছেন সেবা গ্রহীতাগণ।