১৪ শাবান মোতাবেক ৭ মার্চ (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবে বরাতের নামাজ এবং ১৫ শাবান মোতাবেক আট মার্চ (বুধবার) রোজা রাখা হবে।
মুসলমানদের জন্য ‘লাইলাতুল বরাত’ হিসেবে পরিচিত মর্যাদাপূর্ণ এ রাতে মহান আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন।
শবে বরাত’ ফারসি শব্দ ; শব মানে রাত আর বরাত মানে মুক্তি; শবে বরাত অর্থ মুক্তির রজনী, শবে বরাতকে আরবিতে হয় ‘লাইলাতুল বারকাত।
হাদিস শরিফে যাকে ‘লাইলাতুল নিসফে শাবান’ বা শাবান মাসের মধ্য দিবসের রজনী বলা হয়েছে।
শবে বরাতের ফজিলত ও আমল সমুহ :
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত কর ও দিনে রোজা পালন কর। (সুনানে ইবনে মাজাহ)
হজরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেন, পনেরো শাবানের রাত (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখো । (ইবনে মাজাহ, হাদিস- ১৩৮৪)
হাদিস শরীফে শবে বরাতের রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত পাওয়া যায়।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন আইয়ামে বীয অর্থাৎ প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখবে , কেন না তা সারা বছর রোজা রাখার সমান । (আবু দাউদ, হাদিস-২৪৪৯ )
রাসূল (সাঃ) বলেছেন রাতে ইবাদত করো এবং দিনে রোজা রাখো। তাহলে শবে বরাতের রোজা একটিও রাখা যায়। তবে বিভিন্ন হাদিসে এসেছে, রাসূল (সাঃ) প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখতেন।
এই হিসেবে শবে বরাতে তিনটি রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন। সে হিসেবে শাবান মাসে তিনটি রোজা রাখা যেতে পারে।
এ বিষয়ে অন্য একটি হাদিসে এসেছে, হজরত উম্মে সালমা ও হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত- শাবান মাসে প্রায় পুরোটা সময়ই রাসূলুল্লাহ (সা.) রোজা রাখতেন। ( তিরমিজি, হাদিস- ১৫৫, ১৫৬ ও ১৫৭ )
বিশেষ দ্রষ্টব্য :- *যারা ৩ টি রোজা রাখবেন তারা ১৩, ১৪ ও ১৫ শাবান মোতাবেক ৬, ৭ ও ৮ (সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার) রোজা রাখবেন, রবিবার দিবাগত রাতে সেহরি খাবেন।