মানবতার বিপর্যয় যেন ছেয়ে গেছে পুরো বিশ্ব। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখে ও ব্যাস্ত থাকে বিশ্লেষণ কষে। মানবতার বিপর্যয়ের বড় কারণ হিসেবে একজনের বিপদে অন্য একজন দাঁড়ানোর কথা শুধু কাগজে কলমে প্রয়োগ থাকলেও তা বাস্তবে দেখা পাওয়া যেন সোনার হরিণ। তেমনি একটি বিরল ঘটনা ঘটে যা মানবতাকে স্পর্শ করে যায়।
গত বুধবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষার পর পাঁচ সদস্যের পরিবারের সবাই করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল (নাগরিক টিভিতে) এই পরিবারের আর্তনাদ প্রকাশ করা হলে তাৎক্ষনিক সামাজিক মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়।
সুত্রে জানা যায়, ঢাকায় দারোয়ানের চাকুরি করা আনোয়ারুল স্বপরিবারে থাকেন বসুন্ধরা আবাসিকের জি -ব্লকের ১৭ নাম্বার রোডের ১২ নাম্বার বাড়িতে। চাকুরির সুবাধে পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে থাকেন ঐ বাড়িতে। আনোয়ারুল গত বুধবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার কুর্মিটেলা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষার পর পাঁচ সদস্যের পরিবারের সবাই করোনা পজেটিভ হন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে প্রয়োজনীয় ১০ দিনের ঔষধ দেন। ভোক্তভোগী হাসপাতালে তাদেরকে ভর্তি নেননি বলে অভিযোগ করেছেন। আক্রান্তের ঘটনাটি বাড়ী ওয়ালা জানতে পারলে তাদেরকে পরিবারসহ আর বাসায় থাকতে দেয়নি। বাড়ি ওয়ালা এই ভাড়াটিয়াকে নিয়ে ঝুকি নিতে চাননি বলে মুঠোফোনে সাফ জানিয়ে দেন ।ওকে
এমতাবস্থায় পরিবারটি কনক্রিটের এই শহরে মাথার উপরে নেই কোন ছায়া, নেই কেউ পাশে দাঁড়িয়ে একটুখানি মানবতার হাত বাড়াবার। আক্রান্ত ঐ ব্যাক্তি আনোয়ারুলের গ্রামের বাড়ী শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার, কাকরকান্দি ইউনিয়নের, শালমারা পিঠাপুনি গ্রামে। পরিবারের সবাই আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসা সহ থাকা খাওয়ার কোন উপায় না পেয়ে গ্রামের বাড়ি ফেরত আসতে বাধ্য হন।
এতগুলো মানুষের খাবার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাওয়া পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন নালিতাবাড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম। স্বপরিবারের এই খবরটি শুনে ব্যথিত হয়ে প্রাথমিক ভাবে পরিবারের জন্য চাউল, তেল, সাবান, লাউ, পিয়াজ, হুইল পাউডার, মুড়ি, ছোলা, মশুড়ির ডাল, নুনা ইলিশ, চিনি ইত্যাদি উপহার পাঠিয়ে দিয়ে তাদের পাশে দাড়ান।
এবং তাদের পাশে দাঁড়াবার জন্য সমাজের বিত্তশালীদের আহবান জানানো হয়।