রাজধানীর ঢাকাতে রয়েছে অসংখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।দুর্নীতিতে শীর্ষে রয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর বিরুদ্ধে রয়েছে সার্টিফিকেট বাণিজ্য ও অতিরিক্ত ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করে কামিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ডিপার্টমেন্টে ৬০ জন করে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করার কথা থাকলেও প্রতি ডিপার্টমেন্টে ৪০০ থেকে ৫০০ জন অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়েছে।এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে যে বিঁপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।তার হিসাব নেই।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে কোন তোয়াক্কা করছে না ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে প্রক্টর নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম থাকলে ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের ইচ্ছেমতো প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছেন।কাজী বজলুর রহমানকে। এই বজলুর রহমান তিনি বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি থেকে ২০০৯ সালে বিএনপি জামাতের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হয়।যা প্রথম আলো সহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে ছাপা হয়।ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ভাইস চেয়ারম্যান মগবুল আহমেদ খান তার বিরুদ্ধেও রয়েছে নাড়ী কেলেঙ্কারির ভিডিও।যা ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক মন্ডলী,কর্মচারী এবং গাবতলী এলাকার বিভিন্ন লোকজন বিষয়টি জানেন।মকবুল আহমেদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবির এক সুন্দরী ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে চাকরি দিয়েছেন। ঢাকাতে থাকার জন্য ফ্ল্যাটও কিনে দিয়েছেন।এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে।বিশ্ববিদ্যালয় এমন সকল দুর্নীতির বিষয়ে এক শিক্ষাবিদের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়তে পারে।শিক্ষাকে ব্যবসায় পরিণত করার জন্য, এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষাখাতকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রী ভর্তি ও সার্টিফিকেট বাণিজ্য এ সকল দুর্নীতির জন্য সমাবর্তন করতে পারছেনা বিশ্ববিদ্যালয়টি। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। ১০ বছর ধরে একাধারে চলছে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতি। এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির প্রক্টর কাজী বজলুল রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মগবুল আহমেদ খান উভয়ের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করেন নাই।