আর মাত্র কয়েক ঘন্টা অতিবাহিত হলেই শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে (শনিবার)সকাল থেকে সকল জল্পনা কল্পনার যবনিকা ঘটাতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মহানগর আ’লীগের সম্মেলন। এবার এ সম্মেলনে নেতাকর্মীরা দলবাঁচাতে সুশিক্ষিত ও যোগ্য নেতৃত্বের আহবানে জোর দাবী জানিয়েছেন। নেতাকর্মীরা ও গাজীপুবাসী অধীর আগ্রহে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে এব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যাশা রাখছেন। তারা আশা করছেন এমনি একটি সুশৃঙ্খল নেতৃত্ব শীর্ষনেতারা উপহার দেবেন।
বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে গাজীপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। রাজধানীকেন্দ্রিক রাজনীতিতে গাজীপুরের রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। নির্বাচন আসন্ন। সবকিছু মিলিয়ে গাজীপুরে যোগ্য নেতৃত্ব চান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আগামীকাল ১৯ নভেম্বর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। আর এই সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সম্মেলন সফল করতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি, মহানগরের থানা এবং ওয়ার্ডগুলোতে হচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মীসভা। নগরীর অধিকাংশ থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই গাজীপুরের রাজনীতি নানা ধরণের সমস্যায় জর্জরিত। অভ্যন্তরীণ কোন্দল, অনুপ্রবেশকারী ইত্যাদি মিলিয়ে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখন সঙ্কটকাল পার করছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাই গাজীপুরের রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তাই গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বে কারা আসবেন তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাজ করছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটিকে ঘিরেই সকলের আগ্রহ থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানই সভাপতি হবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই চলছে মূল জল্পনা-কল্পনা। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, আতাউল্লাহ মন্ডল, অ্যাডভোকেট আব্দুল হাদী শামীম, মো. মতিউর রহমান মতিসহ আরও কয়েকজন।
জানা গেছে, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের মধ্যে যারা এগিয়ে আছে তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন: গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে আলোচিত নাম ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীদের মুখে শোনা যাচ্ছে তার নাম। ১৯৮৬ সালে কাউলতিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে জয়দেবপুর থানা ছাত্রলীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সাজ্জাদ হোসেন।
মেধাবী এই ছাত্রনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাকালে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নেতৃত্বকালে ঢাবি ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালীতে পরিণত করেছিলেন তিনি। দলের খারাপ সময়ে সব সময় পাশে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত এই নেতা সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ায় তৃণমূলসহ সচেতনমহলে সাড়া পড়েছে। তিনি ২০০০-১০ সালে ইউকে আওয়ামী লীগের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১০-১২ সালে আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ প্রস্তুতি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বলেন, আমাদের প্রত্যাশা দলকে সার্বক্ষণিক সময় দিতে পারবে, গাজীপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির বর্তমান সংকটে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এগিয়ে নেবে এবং শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ও মতামতদর্শী হয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের চিন্তাচেতনা ফুটিয়ে তুলবেন এমন নেতা। আর সেক্ষেত্রে সাজ্জাদ ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন সকলের চেয়ে এগিয়ে।
সাজ্জাদ হোসেন সাধারণ মানুষের বিপদে আপদে পাশে থেকে যেই ভাবে সহযোগিতা করেন, দলের জন্য বিপদকালীন সময়ে লড়াই সংগ্রাম করে দলকে সুসংগঠিত রেখেছেন তাই ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেনকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে দিলে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দৈন্য থেকে মুক্তি পাবে বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। গাজীপুর আওয়ামী লীগে তাঁর বিকল্প নেই বলেও মনে করেন নেতাকর্মীরা।
তবে ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টে সময় বেশী দেন। দলীয় প্রোগ্রাম ছাড়া নেতাকর্মীদের বেশী সময় দিতে পারেন না তিনি। তবে মেয়র জাহাঙ্গীরের বহিষ্কারের পর থেকে এলাকার রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা বেড়েছে।
আতাউল্লাহ মন্ডল: গাজীপুর মহানগরের বর্ষীয়ান রাজনৈতিক আতাউল্লাহ মন্ডল যিনি মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি এবার মহানগর সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে তাঁর বয়স ৭৪ বছর। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি কতটুকু কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। এছাড়াও ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বিএনপির সংসদ সদস্য ও নেতা হাবিবউল্লাহর ‘দক্ষিণ হস্ত’ হিসেবে কাজ করেছে। ডিলারশীপ এবং বিভিন্ন পারমিট এর ব্যবসা করে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। উপজেলা ইলেকশনে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে নিজেও ফেল করেছেন এবং দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের পেছনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গাজীপুরের রাজনীতিতে দলীয় কোন্দলেও তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়েছেন। ২০১৯ সালে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতি ছেড়ে দেন। কিন্তু মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বহিষ্কার হওয়ার পর রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হন।
আব্দুল হাদী শামীম: আব্দুল হাদী শামীম ১৯৮৭ সালে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯১ সালে গাজীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন।
আব্দুল হাদী শামীম গাজীপুরের আদি অধিবাসী নন। তাঁর পিতার চাকুরী সূত্রে গাজীপুরে বসবাস শুরু করেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিল পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মতিউর রহমান মতি: আরেক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মতিউর রহমান মতি যিনি ভাওয়াল বীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির ছোট ভাই। তিনি বর্তমানে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এবার তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু গাজীপুরের প্রায় সকল ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডের সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈধ কোন পেশা না থাকলেও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাঁর কর্মকা-ে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ইমেজ এখন হুমকির সম্মুখীন বলে জানা যায়।
আফজাল হোসেন রিপন: গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাজনীতিবিদ আফজাল হোসেন সরকার রিপন এবার সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ২০০২ সালে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ ছাত্রলীগের মনোনয়নে ভিপি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী রিপনের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। মেয়র জাহাঙ্গীরের বহিস্কারের পর গাজীপুরের ঝুট ব্যবসার প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি। মতিউর রহমান মতির সঙ্গে সমঝোতা করে এলাকা ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁর দুই শ্যালক বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। একজন স্থানীয় কমিশনার, অন্যজন পরিবহন শ্রমিক দলের নেতা। গাছা থানা আওয়ামী লীগের নেতার একমাত্র সন্তানকে প্রকাশ্যে হত্যা করে পরবর্তীতে কোটি টাকায় সমঝোতা হয় বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। মানুষের সঙ্গে তিনি সর্বদা দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ মানুষ এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রায় শূন্যের কোটায় পৌঁছেছে বলে দাবি করেছেন অনেকেই।
গাজীপুরের সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসন গাজীপুরের সহিংসতা, জঙ্গিবাদ দমনে অনেকটাই ব্যর্থ। কিছুক্ষেত্রে অপরাধীরা স্থানীয় রাজনৈতিক মদদও পেয়েছে বলে অভিযোগ আছে। ধর্মের ব্যবহার ও অর্থের বিনিময়ে বহিরাগতদের মাধ্যমে গাজীপুরের অপরাধমূলক কার্যক্রম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে এদের অপব্যবহার ব্যাপকহারে বেড়েছে। এতে গাজীপুরে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই যারাই মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবেন তাদের অনেক চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।
২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী গাজীপুরে ৫২ লাখের বেশি মানুষের বাস এবং ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পরেই গাজীপুরে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। গাজীপুরের মোট জনগোষ্ঠীর সিংহভাগই মুসলিম, মাত্র ছয় শতাংশ ভিন্নধর্মাবলম্বী। ভৌগোলিক অবস্থান ও শিল্পঘনিষ্ঠতার কারণে গাজীপুরে প্রচুর বহিরাগতের আগমন ও বসবাস। এটিও নতুন নেতৃত্বের জন্য এক ধরনের চ্যালেঞ্জ।
অন্যদিকে, গাজীপুরে সম্প্রতি অদ্ভুত এক তরুণ রাজনৈতিক শ্রেণির উদ্ভব হয়েছে। এই শ্রেণি মাদক ও ঝুটের ব্যবসায়ের মাধ্যমে অঢেল অবৈধ বিত্তের মালিক হয়েছে। গাজীপুরের শতকোটি টাকা ঝুটের ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এই শ্রেণি রাজনীতিতে নাম লেখাচ্ছে। এসবও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, গাজীপুরে এমন একটি রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রয়োজন যার সুশিক্ষার পাশাপাশি সমৃদ্ধ রাজনৈতিক অতীত ও অভ্যাস আছে। এর পাশাপাশি আছে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের দক্ষতা। তিনি তার সহজাত নেতৃত্ব দিয়ে ও নিয়মিত মনিটরিং দিয়ে গাজীপুরের সঠিক সক্ষমতার উন্মেষ ও বিকাশ ঘটাতে পারবেন এবং ধর্মের মোড়কে পুরে শান্তিপ্রিয় এই জনপদকে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার কবল থেকে মুক্ত করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ১৩ মাস বাকি। তাই ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের এবারের জাতীয় সম্মেলনের গুরুত্ব অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি। তাই আওয়ামী লীগকে সাধারণ সম্পাদক বাছাইয়ে অনেক কৌশলী হতে হবে।
দলীয় সূত্র বলছে, যেসব নেতাকর্মীরা দলের মধ্যে থেকে‘পারফর্মেন্স দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন’ এবং বিতর্কিত কর্মকা- করে দলের সুনাম নষ্ট করেছে কাউন্সিলে তাদের কপাল পুড়তে পারে। এছাড়া বেশ কয়েকজন সাবেক নেতা এবার নতুন করে কমিটিতে জায়গা পেতে পারেন।
সবমিলিয়ে গাজীপুরের অস্থির রাজনীতিতে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়েই চলছে মূল জল্পনা-কল্পনা। আগামী ১৯ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জানা যাবে কে হবেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তবে যারাই নির্বাচিত হন গাজীপুরের সার্বিক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে তাদের ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে।