শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের খড়ের পালায় আগুন দিলো আব্দুল মালেক নামে এক সুদখোর মহাজন। ২২ অক্টোবর শনিবার রাতে উপজেলার গৌরিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল মালেক ওই গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে। জানা গেছে, প্রতিবেশী দরিদ্র সাদেকুল ইসলাম গত প্রায় ২ বছর পুর্বে সুদে ১৮ হাজার টাকা ধার নেন আব্দুল মালেকের কাছ থেকে। জানা গেছে, পরিবারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহের তাগিদে সাদেকুল স্বপরিবারে ঢাকায় থাকেন। বছরে দু’ একবার বাড়িতে আসেন। পরে সাদেকুল মালেকের কাছ থেকে নেয়া ১৮ হাজার টাকার সুদে আসলে ২৩ হাজার টাকা পরিশোধ ও করেন সাদেকুল। কিন্ত আব্দুল মালেকের দাবি তিনি আরো ৪০ হাজার টাকা পাবেন সাদেকুলের কাছ থেকে।
আব্দল মালেক ১৬ অক্টোবর রবিবার ঢাকায় থাকা সাদেকুল ইসলামকে ফোনে জানান,তার পাওনা ৪০ হাজার টাকা না দিলে সাদেকুলের বসতঘর ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। এবং ১৭ অক্টোবর সোমবার আব্দুল মালেক তার লোকজন নিয়ে সাদেকুল ইসলামের ২০ হাত একটি টিনসেট ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায ঘরে থাকা মালামালসহ।
খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে এব্যাপারে সাদেকুল ইসলাম বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামী করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ পেয়েই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অপর দিকে আব্দুল মালেক ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার হিন উদ্দেশ্য শনিবার রাতে তার বাড়ির উঠানে থাকা খড়ের পালায় নিজেই আগুন ধরিয়ে দিয়ে চেচামেচি করতে থাকে যে সাদেকুল ও তার লোকজন মালেকের খড়ের পালায় আগুন দিয়েছে।
এ বিষয়ে আব্দুল মালেক বলেন আমি সাদেকুলের ঘরটি ৬০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি। সাদেকল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমি কোন সুদের ব্যবসা করি না। তিনি বলেন সাদেকুল মামলা দিয়েই খান্ত হয়নি। তিনি আমার খড়ের পালায় আগুন দিয়ে খতি সাধন করেছে। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল আলম ভূইয়া বলেন সাদেকুলের বসতঘর ভেঙ্গে নেয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।