শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আবারো ভুমিহীনদের মাল্টা বাগান নিধনের অভিযোগ উঠেছে বন কর্মচারিদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই ঝিনুক গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের।
ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন ১৯৯০ সালে তৎকালীন সরকার উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামে ঝিনুক গুচ্ছগ্রামটি নির্মান করেন। এ গুচ্ছ গ্রামে ২০ টি গৃহহীন ছিন্নমুল পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। এ সময় তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহের জন্য গজনী
মৌজায় ২৫ একর ৯২ শতাংশ ভূমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ।
ওই জমিতে লিচু,বড়াই পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফসলাদী উৎপাদন করে চলতো ভুমিহীন পরিবারের সদস্যদের জীবন জীবিকা।
কিন্তু ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় বন কর্মচারীরা ওই জমির মালিকানা দাবি করে আবাদি কৃষি ওই ভূমিতে তান্ডব চলায়। তারা ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করতে চাইলে,গুচ্ছ গ্রামের পক্ষে হাইকোর্ট বিভাগে ১৭৭৬১/১৭ নং একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। উক্ত রিট মামলার বলে হাইকোর্ট গত ৫ মে ২০২২ ইং তারিখে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীদের বিরুদ্ধ স্থিতিবস্তা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
পরে ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা ওই জমিতে মান্টা বাগান গড়ে তুলেন।
কিন্তু আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে গত ১০ অক্টোবর সোমবার রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫/২০জন বন কর্মচারি মাল্টা বাগানটি নিধন করে এবং বাকি বাগানটুকু নিধনের পাঁয়তারা ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছেন। এব্যাপারে ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আঃ হাই ঝিনাইগাতী থানায় একটি সাধারন ডায়েরীর আবেদন করেছেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: শরীফুল ইসলাম বলেন- গজনী মৌজায় সিএস নং ৬৩১, বিআরএস নং ৬২৮ দাগে মোট ১২৭ একর জমি আছে।এ জমিগুলো ৫মে ২০০৬ সালে ২০ ধারায় সরকার রিজার্ভ বন হিসেবে ঘোষনা করেন।
অনুকুলে ৮ লাখ ৬৮হাজার টাকা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা হয়েছে বন বিভাগের পক্ষ থেকে। ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের নামে ১৯৯০ সালে বন্দোবস্ত দেয়া হলেও ২০০৬ সালে তা বাতিল করা হয়েছে । বন বিভাগের জমি রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের ।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল আলম ভূইয়া বলেন এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে জমির কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।