নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ডের কয়াগোলাহাট কিসামত পাড়ার অবহেলিত দেড় কিলোমিটার রাস্তা ৫০ বছরেও রাস্তার সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। এ সময় রাস্তায় যেন এক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। দূর থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই এটি রাস্তা নাকি খাল। ভারী পণ্যবাহী কোনো পরিবহণ এই রাস্তায় চলাচলের অনুপোযোগী। এমনকি মোটরসাইকেল,বৈদ্যুতিকচালিত অটোরিকশা, ভ্যান, ছোট ট্রলি চলাচল করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে সময় এবং খরচ বেশি হচ্ছে।
সৈয়দপুর পৌরসভাধীন১ নং ওয়ার্ডের কয়াগোলাহাট কিসামতপাড়ার রাস্তাটি , সরেজমিনে গিয়ে প্রথমে দেখলে এটিকে রাস্তা মনে নাও হতে পারে। মনে হতে পারে খাল-খন্দের মাঝে মাঝে সামান্য একটু রাস্তা।
সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। স্থানীয়দের যাতায়াতের প্রধান এই রাস্তাটি মাটির হওয়ায় বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।কিছুদুর পর পরই খালা খন্দে ভরা ।
স্থানীয়রা বলছেন প্রতিদিন এই রাস্তায় ২০ হাজার লোক যাতায়াত করে থাকে। রাস্তায় চলাচলে সময় কম লাগায় পথচারীদের প্রথম পছন্দ।দীর্ঘ দিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই এলাকার হাজারো মানুষ ও পরিবহন চলাচল করছে। রাস্তায় চলতে গিয়ে হরহামেশা দুর্ঘটনার স্বীকারও হচ্ছেন অনেকে।
কয়াগোলাহাট কিসামত পাড়ার বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন বলেন এই রাস্তা দিয়ে বৃষ্টি পর হাটা যায় না পুরো রাস্তা জুড়ে কাদা ।কিছুদিন আগে আমি এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার সময় পরে গিয়ে আমার পা ভেঙ্গে যায় । আমার মতো অনেকেই দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী বুলু মিয়া বলেন এই রাস্তা নিয়ে আমার অভিযোগ, বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকার বাজেট হয়, কিন্তু এই রাস্তা ঠিক হয় না। জন্মের পর থেকেই রাস্তার এ দশা দেখে আসছি। কোনো সরকার বা প্রতিনিধি এ রাস্তা উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
স্কুল শিক্ষার্থী নায়িম ইসলাম লিটন বলেন একটু বৃষ্টি হলেই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারি না । কাদা আর পানির জন্য হেঁটে যাওয়ারো কোনো উপায় নেই।
মদিনা বেগম বলেন এলাকার বাসিন্দা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য স্কুলে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। হেঁটে যাওয়ারো কোনো উপায় থাকে না। অনেক জনপ্রতিনিধি আশ্বস্ত করেছেন রাস্তা সংস্কারের। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটি আর বাস্তবায়ন হয়নি। সকলেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা তা দিব্যি ভুলে যান।