শেরপুরের নকলায় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছেন প্রকাশ চন্দ্র দাস নামের এক কিশোর। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পরে সরকারি আইন ও ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক তার নাম রাখা হয় মোহাম্মদ রাফি সরকার।
শেরপুর আদালতের আইনজীবী মো. সুজাউদ্দৌলা সাজনের চেম্বারে ইসলামী শরিয়ত মেনে কালেমা পড়ে মুলমান হন জেলার নকলা উপজেলার পৌর শহরের গ্রীনরোড এলাকার শ্রী লাঞ্জু রবিদাস ও শ্রী বেলী দাসের ছোট ছেলে প্রকাশ চন্দ্র দাস।
রোটারিয়ান একেএম মোসাদ্দেক ফেরদৌসি এর কার্যালয়ে স্বশরীরে হাজির হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পরে আইনি ও ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক তার নাম রাখা হয় মোহাম্মদ রাফি সরকার।
সদ্য মুসলামান হওয়া মোহাম্মদ রাফি সরকার জানান, ইসলাম ধর্মের সকল রীতিনীতি মেনে তাকে কালেমা পড়িয়ে মুসলামান বানান তার পরিচিত এক আলেম ভাই। পরে নোটারী পাবলিকের হলফনামায় স্বাক্ষর করেন তিনি।
মুসলমান ধর্ম গ্রহন করার পরে মোহাম্মদ রাফি সরকার বলেন, আমি হিন্দু ধর্মের দীক্ষায় দীক্ষিত ছিলাম। কিন্তু ছোট কাল থেকে মুসলমান সম্প্রদায়ের সাথে চলাফেরা করে ও বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় আলোচনায় বসে এই মর্মে উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে ইসলামই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই। ইহকাল ও পরকালের মঙ্গলের জন্য ইসলামই একমাত্র সঠিক পথ। তাই ইসলাম ধর্মের অনুশাসন মেনে চলার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে আমি স্বেচ্ছায় আমার পুরাতন ধর্ম (হিন্দু) ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হই এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি।
তিনি আরও বলেন, ইসলাম ধর্মের অনুসারী হিসেবে আমি স্বজ্ঞানে ও সুুস্থ্য মস্তিষ্কে আমার নাম প্রকাশ চন্দ্র দাস পরিবর্তন করে ইসলামী শরিয়াহ মাতাবেক মোহাম্মদ রাফি সরকার নামে পরিচয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করি। আজ হতে মৃত্যু পর্যন্ত ইসলাম ধর্মের অনুসারী হিসেবে বহাল থাকতে চান তিনি। এর জন্য মোহাম্মদ রাফি সরকার সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।