সৈয়দপুরে চড়চড়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা নিতে এসে সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েন প্রধান শিক্ষক।শেষে ঘটনার বেগতিক দেখে পরীক্ষা স্থগিত করে গোপনে পালিয়ে যান তিনি।
নীলফামারী সদর উপজেলার চড়চড়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষা প্রকাশ করা হয়। ২১ আগস্ট সৈয়দপুর সরকারী বিজ্ঞান কলেজে ওই শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভ্যেনু করা হয়। চারপদে প্রায় ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বানিজ্য করা হয় এমন অভিযোগ উঠে।। কিন্তু নীলফামারীতে ওই নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে তা টেনে আনা হয় সৈয়দপুরে। এ সংবাদটি ফাঁস হলে পরীক্ষা কেন্দ্রে ভীর জমায় জেলার সাংবাদিকরা। এ সময় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে চেষ্টা করে নিয়োগ বানিজ্যের সাথে জড়িতরা। শেষে দর কষাকষিতে বনাবনি না হলে প্রধান শিক্ষক এ বি এম লাইফুল ইসলাম ওই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে কেন্দ্র থেকে গোপনে সটকে পড়েন।
নিয়োগ প্রত্যাশীদের মধ্যে থেকে জানা যায়,চড়চড়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক,অফিস সহায়ক, আয়া ও নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা হবে। ওইদিন তারা টাকা পয়সা খরচ করে পরীক্ষা দিতে আসে নীলফামারী থেকে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে। এখানে এসে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষা নেয়া হয়নি তাদের। এক পর্যায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে নোটিশ জারি করেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন,পরীক্ষায় কোন প্রকার অর্থ লেনদেন হয়নি। একটি পক্ষ অযথা নিয়োগ বানিজ্যের অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে কেন পরীক্ষা স্থগিত করা হল এ বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান